image

কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর আগাম জামিন

image

কুতুবদিয়া থানায় পুলিশের দায়েরকৃত নাশকতার ৪ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টের ১৬নং বেঞ্চের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহাম্মেদ শুনানী শেষে ৮ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহম্মেদ ।

আগাম জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, জেলা বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফি আলম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, লেমশীখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল সভাপতি রেজাউল করিম, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি সাইফুজ্জামান লিটন, উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মনির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মোশারফ হোছাইন বাপ্পা, সিঃযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহছানুল হক রুবেল, যুবদল নেতা নাজেম উদ্দিন নাজুসহ বিএনপির ১৬ নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে যেভাবে পুলিশ গায়েবী মামলা দিয়ে আমাদেরকে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে রাখলো তা এ দেশেতো বটেই পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। পৃথিবীর অন্য কোন স্বৈরশাসক এভাবে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দেয়নি। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। খোদ মহামান্য হাইকোর্ট বলেছে এতে পুলিশের ভাবমূর্তি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক দিকে সরকার আমাদেরকে নির্বাচনে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছে আবার অপরদিকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে মাঠেই নামতে দিচ্ছে না। এভাবে এ দেশের গনতান্ত্রিক পরিবেশকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংশ করা হয়েছে। তাই আমরা মনে করি এখনই যদি দেশে গনতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা না যায় তাহলে এক সময় গোটা জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন সরকারের এই সীমাহীন নির্যাতন সত্যেও আমরা নির্বাচনের সর্বাত্বক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের এই গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী নির্যাতন সত্বেও এবারের নির্বাচনে গনমানুষের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।