image

মিরসরাইয়ে আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ যুবক

image

মিরসরাইয়ে এক আদিবাসী কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব মসজিদিয়া ত্রিপুরা পাড়ার উত্তর পাশের নির্জন পাহাড়ের উপরে এই ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকাল আনুমানিক তিনটায় কিশোরীটি ধর্ষকদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। পরে ধর্ষনের ঘটনাটি সে তার অভিভাবকদের জানায়। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উক্ত ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। উক্ত মামলায় শিমুল ত্রিপুরা ও মো. মন্নানকে আসামী করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিমুল ত্রিপুরাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

এই ব্যাপারে ধর্ষনের শিকার কিশোরী বলেন, বৃহস্পতিবার দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে পাড়ার পাশের একটি পাহাড়ে আরো ৫-৭ জন শ্রমিক সহ বাগান পরিস্কারের কাজ করতে যাই। এসময় আমাদের কাজের পরিচালনা করছিলেন শিমুল ত্রিপুরা। সেখানে আমার দায়িত্ব ছিলো শ্রমিকদের পানি খাওয়ানো। বেলা আনুমানিক ১টার সময় শিমুল ত্রিপুরা আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, “তোমাকে আর এখানে পানি খাওয়াতে হবে না, তুমি আমার জন্য জ্বলানী কাঠ সংগ্রহ কর”। এরপর শিমুল ত্রিপুরা আমাকে জ্বলানী কাঠ সংগ্রহের জন্য ওইস্থান থেকে পাহাড়ের উপরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এসময় সেই স্থানে মো. মন্নান নামের এক যুবক উপস্থিত হলে তারা দুইজন মিলে আমাকে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরে আমাকে ছেড়ে দেয়ার সময় তারা বলে, এই ঘটনা যেন কাউকে না বলি, যদি এই ঘটনা প্রকাশ করি তাহলে আমাকে ও আমার বাবা মাকে হত্যা করবে। ধর্ষনের শিকার কিশোরীটি এসময় আরো জানান, আমি উক্ত ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। 

এই বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে শিমুল ত্রিপুরা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।