image

নিষিদ্ধ পলিথিন নিষিদ্ধ কোথায়

image

সম্ভবত ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে প্রথম পলিথিনের বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। সহজ পরিবহন ও স্বল্পমূল্যের কারণে পলিথিন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কিন্তু ক্রমান্বয়ে পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার এবং যেখানে সেখানে পলিথিন ফেলে দেয়ার কারণে তা পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনে।বিশেষ করে ড্রেন, ডোবা, পুকুর, নালা, খালসহ বিভিন্ন জলাশয়ে পলিথিন জমা হবার ফলে ওইসব স্থানে জলের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে মশা-মাছির প্রজনন বৃদ্ধিসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।

ক্রমাগতভাবে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সরকার ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এবং দু:খজনক হলেও সত্য যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর থেকে আজ অবধি পলিথিনের ব্যবহার ক্ষনিকের জন্যও বন্ধ হয়নি।তথ্যমতে, সরকার ২০১০ সালে পলিথিনের পরিবর্তে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহারের আইন পাশ করে।

পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে রপ্তানিমুখী শিল্প ব্যতীত বাংলাদেশে সব ধরনের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারী শিল্পের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ২০০২ সালে। ওই বছর ১ জানুয়ারি ঢাকায় এবং ১ মার্চ সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত)-২০০২ অনুযায়ী, এই আইন অমান্য করলে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আর বাজারজাত করলে ৬ মাসের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যবহার করা হলেও এই আইনের কোনো প্রয়োগ নেই।

মাঝে মধ্যে নামকা ওয়াস্তে অভিযানে কিছু পলিথিন উদ্ধার হলেও মূল হোতারা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জনমনে প্রশ্ন পলিথিন নিষিদ্ধ হলে জনসমক্ষে যা বিক্রি হচ্ছে তার নাম কি !