image

ঢাকায় বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার আতংক

image

সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠলেও রাজধানী ঢাকাতে হামলার অভিযোগ তেমন শোনা যায়নি। তবে গ্রেফতার আতংকে রাজধানীর বিএনপি নেতারা ঘর ছাড়া।এমনই দাবী করছেন দলের সিনিয়র নেতারা।

এদিকে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে সারাদেশে  পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে  বিএনপির ২১৭১ জন নেতাকে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির পক্ষ থেকে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব  রুহুল কবির রিজভী। 

বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালেয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএন‌পির সাংগঠ‌নিক সম্পাদক ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু‌কে রাজধানীর  গুলশা‌নের বাসা থে‌কে আটক ক‌রে‌ছে গোয়েন্দা পু‌লিশ।

গ্রেফতার  সম্পর্কে  জানাগেছে  বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর  গুলশা‌নের বাসা থে‌কে  তাকে আটক ক‌রা হয়।  আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদল নেতা শামছুল আলম রনি। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুলুকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, ঢাকা - ১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নান এর বাসার সামনে থেকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান গাজী মানিককে আটক করেছে পুলিশ। 

তাকে ধানমন্ডি থানায় নভেম্বরের ৬ তারিখের রাজনৈতিক একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানাযায়।

গ্রেফতার সম্পর্কে জানাগেছে গতরাত ১২ টার দিকে এমএ মান্নানের বাসায় নির্বাচনী মিটিং শেষে বের হলে   দুটি গাড়ি ও ৮/১০ টি মোটরসাইকেলসহ পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে আটক করে ধামনন্ডি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুরাতন একটি মামলায় আটক দেখিয়ে নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় মানিককে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকার বৌদ্দ মন্দির এলাকায় বিএনপি প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠে।

এ হামলার বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

রাজধানীর ভাটারা থানার ৪০ নম্বর  ওয়ার্ড বিএন‌পির সিনিয়র ভাইস প্রে‌সি‌ডেন্ট ক‌ফিল উ‌দ্দি‌নের সোলমাই‌দের বাসায় গ‌ভির রা‌তে  পু‌লি‌শের তল্লাসী, ছাদ থে‌কে ফে‌লে তা‌কে হত্যার অ‌ভি‌যোগ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রোগ্রামে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করুক না কেন আমরা নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবো। ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে তাকে থামানো যাবে কোন কিছুতেই না। 

এদিকে, বিএনপির স্হানীয় থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা  অভিযোগ করেছেন সরকার ও নির্বাচন কমিশন শুধু মুখেই বলে যাচ্ছে কোন রকম ঝামেলা হবে না।কিন্তু আমাদের দেখেন কত দিন হলো বাড়ি ঘর বৌ বাচ্চা, মা বাবাদের দেখিনা পালিয়ে থেকে কি নির্বাচন করা কতটুকু সম্ভব?