image

সন্ত্রাসী হামলায় কারাবন্দি বিএনপি প্রার্থীর স্ত্রী আইসিইউতে

image

গাজীপুর-৫ আসনের কারাবন্দি ধানের শীষের প্রার্থী ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হকের ওপর আবারও সন্ত্রাসী হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় শম্পা হকসহ কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শম্পা হককে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে এবং অন্যান্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনই নারী।

সোমবার ( ২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কালিগঞ্জ থানার মূল ফটকে এ হামলার ঘটনা ঘটায় আওয়ামী লীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীবাহিনী। এ সময় নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা। কোনো ভূমিকা নেয়নি পুলিশ থানা ফটকে এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলেও।

সাংবাদিকদের শম্পা হকের এক আত্মীয় জানান, দুটি গাড়ি নিয়ে কয়েকজন নারী ও পুরুষকর্মী নিয়ে দুপুরের দিকে কালিগঞ্জ থানায় ফজলুল হকের একটি বন্দুক জমা দিতে বতুর্লের নিজ বাড়ি থেকে রওনা হয় শম্পা হক।

সকালে যেতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার ওসি শম্পা হককে দুপুরের পর যেতে বলে। কালিগঞ্জ থানার মূল ফটকে গিয়ে পৌঁছলে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করা সরকারদলীয় উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে শম্পা হকসহ কর্মীদের গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে। লাঠির আঘাতে শম্পা হকসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে শম্পা হক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত দুটি গাড়ি হামলাকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় ভাঙচুর ও হামলার স্থির চিত্রধারণের সময় শামীম আহাম্মেদ নামে স্থানীয় একজন সাংবাদিককেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

আবু বক্কর মিয়া (কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ) জানান, হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।এজমা ও হার্টের রোগী শম্পা হক। থানায় এসে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ঢাকায় যান।

খবর : চ্যানেল ২৪