image

শেরপুরে বিএনপির প্রার্থী ডা. প্রিয়াংকার প্রচারে হামলা

image

শেরপুর-১ (সদর) আসনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকার ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন তাঁর ১০ নেতাকর্মী। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর গাড়ি।

এমনটাই অভিযোগ করেছেন এবারের নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী বিএনপির ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।

আজ সোমবার বিকেলে হামলার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আহত নেতাকর্মীদের নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব জানান ডা. প্রিয়াংকা। 

এদিকে ডা. প্রিয়াংকা যখন অভিযোগ জানাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন তখন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে প্রার্থীর আত্মীয়সহ ১১ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এ সময় প্রিয়াংকা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের লোকজন প্রচারে বাধা দেয়। বাধা পেয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে আসার সময় পেছন থেকে হামলা করে তারা। লাঠিসোঁটাসহ হামলায় তাঁর সাথে থাকা নেতাকর্মী ও নারীরা আহত হয়। এ সময় তাঁর গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা তাঁর খালা ও ছোট ভাই আহত হন।

এ অবস্থাতেই প্রিয়াংকা তাঁর আহত আত্মীয় ও নেতাকর্মীদের নিয়ে অভিযোগ জানাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব দেখা করতে না চাইলে ডা. প্রিয়াংকা জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষের বাইরে অবস্থান নেন।

প্রিয়াংকার অবস্থান নেওয়ার ২০ মিনিট পর জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যস্ততায় রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব প্রার্থীর সাথে দেখা করেন। তিনি বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ শুনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেন।

এদিকে হামলার পর ফেসবুক লাইভে আসেন প্রিয়াংকা। লাইভে দেখা যায়, তিনি জেলা প্রশাসকের কক্ষের দরোজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসকের দরজাটি ভেতর থেকে বন্ধ করা। এ সময় প্রার্থীর সঙ্গে হামলায় আহত নারীদের চিৎকার করে কাঁদতে দেখা যায়।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী গাড়িবহরে হামলার খবরে জেলার বিএনপি সমর্থক ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।