পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল নির্মানের সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উখিয়ার বেশ কিছু সংখ্যক মাটি পাচারকারী চক্র। তারা পাহাড় কেটে মাটি পাচারকে পেশা হিসাবে গ্রহন করায় বন, প্রকৃতি ও পাহাড় সংশ্লিষ্টদের সাথে রয়েছে তাদের গোপন আতাঁত। প্রতিটি পাহাড় কাটার নেপথ্যে ইন্ধন রয়েছে বনবিট কর্মকর্তাদের। তারা সরকারি বেতনভোগী কর্মচারী হয়ে এলাকার বনসম্পদ ও প্রকৃতি রক্ষায় দায়বদ্ধ থাকলেও তার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের বদৌলতে হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়িকাড়ি টাকা। উচ্চ পদস্ত বনকর্তা ব্যক্তিদের আঙ্গুল দিয়ে পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখিয়ে দেওয়া হলেও কোন কাজ হয়না। ভয়াবহ পাহাড় কাটার নির্মমতার কারনে প্রকৃতির আচরন ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে দাবী করে এলাকার পরিবেশবাদী সচেতন মহল বলছেন, ছয় ঋতুর দেশ কথায় থাকলেও কাজে নেই।
পাহাড়, টিলা, খাল,নদী ও জলাশয় বেষ্টিত উখিয়া উপজেলার মান চিত্র পাল্টেগেছে দাবী করে উখিয়া নদী পরিব্রাজক সংগঠনের সভাপতি মোঃ আলী জানান, নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের ফলে খাল,নদী জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। পরিবেশ বিধংশি এহেন অনৈতিক কার্যকালাপ অব্যাহত থাকলে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রকৃতির ক্ষুব্দ আচরনের ফলে উখিয়াসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিশাল অংশ একদিন সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
সরজমিন রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা বাগানের পাহাড়, তুতুরবিল, উত্তর পুকুরিয়া ঘুরে দেখা যায়, পাহাড় সদৃশ্য প্রতিটি বসতবাড়ীতে যানবাহন চলাচলের উপযুগী করে বাড়ী সংলগ্ন পাহাড় কেটে শ্রেনী পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাহাড় কাটার ব্যাপারে হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার বাড়ী ওয়ালা বদি আলম জানান, বসত ভিঠা সমতল করার জন্য মাটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এব্যাপারে বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে হয়েছে।
রাজাপালং বনবিটের বিট কর্মকর্তা আমির হোসেন গজনবী ও ওয়ালা বিট কর্মকর্তা ফেরদৌস পাহাড় কাটার ব্যাপারে না লেখার অনুরোধ জানিয়ে সাংবাদিকদের খুশি করার আশৃস্ত করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগানের পাহাড় থেকে মাটি কেটে পাচারের সময় উখিয়া থানা পুলিশ মাটিভর্তি ডাম্পারসহ কোটবাজার এলাকার আবুল হোসনের ছেলে ছৈয়দ নুরকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক হান্নান জানিয়েছেন।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় খেকো ও ডাম্পার মালিকরা মোটা অংকের মিশন নিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ডাম্পার গাড়ী ও আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া বন রেঞ্জের দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা তারিকুর রহমান সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও কথায় আর কাজে কোন মিল খুজে পাওয়া যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited