image

এনজিও সংস্থা থাই কতৃক রোহিঙ্গা শরনার্থীর চাকুরী কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ 

image

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের রেজিস্টার শরনার্থী জাকির আহমদ নামের এক অফিসের পিয়ন কে থাই এনজিও কতৃপক্ষ নীতিমালা অনুসরণ না করে  চরম অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

এনজিওর নীতিমালা তোয়াক্কা না করে রেশন সামগ্রী উত্তোলন বন্ধ রাখার মিথ্যা অভিযোগ এনে নিরীহ জাকির আহমদ কে থাই এনজিও কতৃপক্ষ সম্পূর্ণ  বেআইনিভাবে চাকুরি থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে ।

৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী জাকির চাকুরী ফেরত চেয়ে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর একটি আবেদন করেছেন । কিন্তু ক্যাম্প কতৃপক্ষ বিষয়টির কোন সন্তোষজনক সমাধান দিতে পারেনি । উপরন্তু ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম তাকে দূ'র্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । নিরীহ শরনার্থী জাকির আহমদ জানান, থাই এনজিওর প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহ সিকান্দার ,ইলিয়াস ও ক্যাম্প কতৃপক্ষের উদাসীনতা এবং খামখেয়ালিপনার কারনে চরম অবমাননা করে আমার চাকুরী টা কেড়ে নেয় । 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, থাই এনজিও এবং ডাব্লিউএফপি এনজিও ছাড়াও ব্র্যাকের হিউমেন্টারিয়ান কার্যক্রম নিয়ে রেজিস্টার শরনার্থীরা চরম অসন্তুষ্ট । তাদের মতে, ইউএনএইচসিআর যখন রেজিস্টার শরনার্থীদের দায়িত্বে ছিল তখন তারা ঠিকমত রেশন সামগ্রী পেতো । এসব এনজিওর নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী রোহিঙ্গা শরনার্থীগন নিতে আগ্রহী নয় । 

এদিকে জাকির আহমদ  এমআরসি ০৭১৫৯ ব্লক-সি , শেড নং-৪ ,রুম নং ১/২  এর চাকুরী ফেরত প্রদান করে  অসহায়ত্বের অবসান ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প কতৃপক্ষ ও থাই এনজিওর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জাকির আহমদ ও তার পরিবার পরিজন । 
এব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।