image

বইমেলা উপলক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

image

অমর একুশে বই মেলা উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

বৃহস্পতিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, একুশে বইমেলা উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলাপ্রাঙ্গণ ছাড়াও টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুলিশের থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া মেলার চারপাশে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। 

তিনি বলেন, বইমেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি বম ডিস্পোজাল ইউনিয় এবং সোয়াত টিমের সদস্যরা প্রস্তুত থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী  উদ্যান এলাকা শতভাগ সিসিটিভির আওতায় থাকবে। এছাড়া টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরে পুরো এলাকাও সিসিটিভির আওতায় থাকবে। অন্যদিকে মেলার ভিতরে এবং বাহিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য আমরা ইতমধ্যেই পিডাব্লিউর সঙ্গে কথা বলেছি।

বইমেলা প্রাঙ্গণে নয়টি গেইট থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলার বাংলা একাডেমির অংশে দুইটি প্রবেশ গেইট ও একটি এক্সিট গেইট থাকবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিনটি প্রবেশ গেইট ও তিনটিবএক্সিট গেইট থাকবে। প্রতিটি গেইটেই আর্চাওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি নিরাপত্তা তল্লাশি থাকবে।

বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে নারী ও পুরুষদের জন্য প্রবেশ পথের আলাদা আলাদা লেন থাকবে বলেও তিনি জানা।

বই প্রকাশ ও বিপণের বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয় কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই মেলায় প্রকাশ বা বিপণ করা যাবে না। তারপরেও যদি কেউ করে তাহলে আময়াদের গোয়েন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, মেলায় আগত লেখক, প্রকাশক ও ব্লগার যদি মনে করেন তাদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন তাহলে মেলায় নিয়োজিত আমাদের অফিসারদের সঙ্গে সাথে যোগাযোগ করলে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের রুখতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 
পকেটমার ছিনতাইকারী দমনে পুলিশের বিশেষ টিম থাকবে। বইমেলা এলাকা জুড়ে থাকবে আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা টিম। তারা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করবে যাতে করে যেন কোনো ধরনের ছিনতাই বা রাহাজানির ঘটনা না ঘটে। এছাড়া মেলাপ্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ এলাকায় কোরো ধরনের ভাসমান দোকান ও হকার থাকবে না। তাদের দমনে আমাদের ফুট ও মোবাইল পেট্রোলিং থাকবে।

বইমেলা উপলক্ষে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তা যানজট মুক্ত থাকবে। যারা টিএসসির দিয়ে মেলায় আসবেন তারা গাড়ি পার্কিং করবেন ঢাবির মলচত্বরে আর দোয়েল চত্বর দিয়ে যারা আসবেন তারা গাড়ি পার্কিং করবেন রাস্তার দুই পাশে ও ঢাবির জিমনেসিয়ামে। তাছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমাদের বিশেষ টিম কাজ করবে।

এসময় তিনি দর্শনার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, ঢাকা শহরে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সোনারগাঁও হোটেল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এমআরটির কাজ চলছে। তাই আমি দর্শনার্থীদের বলব যদি পারেন আপনারা মগবাজার ও দোয়েলচত্বর হয়ে মেলায় আসবেন। তাহলে যানজট কম পাবেন। কেননা সোনারগাঁও হোটেল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এমআরটির কাজ চলায় এই রাস্তায় যানজট বেশি।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সংঘবদ্ধভাবে জঙ্গিরা হামলার চালানোর শক্তি নেই। তবে দুই একজন বিচ্ছিন্নভাবে হামলার চেষ্টা করতে পারে। তবে এ বিষয়ে গোয়েন্দারা সজাগ রয়েছে।