হারেসা (১০)। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ক্যাম্পে আশ্রিতা রোহিঙ্গা ওমর হাশেমের শিশু কণ্যা। প্রথমে ক্যাম্প পরিদর্শনের শুরুতে তার সাথে কথোপকথন করেন জাতিসংঘের বিশেষদূত এ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মিয়ানমারের ওপারে নির্যাতন এবং এপারে অবস্থানের কথা জানতে চান এ দূত। এ শিশুর সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা শেষে জি বøকের ঘর নং ২৮৫ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে যান তিনি। তাদের কাছ মিয়ানমারে অবর্ণনীয় নির্যাতনের কথা শুনার পশাপাশি ক্যাম্পে ত্রাণ পাওয়া না পাওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের কথা শুনে এ সময় তিনি অশ্রæসিক্ত হন এ্যাঞ্জেলিনা জোলি। পরে ব্র্যাকের একটি ক্যাম্পে বসে রোহিঙ্গা দুস্থ ও প্রতিবন্ধি অভিভাকদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলো নির্দেশ দেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত ও হলিউড বিখ্যাত অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি কক্সবাজারস্থ টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান নেন।
৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুর ১ টারদিকে তিনি ইউএনএইচসিআরের গাড়ি বহর নিয়ে টেকনাফের চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন।
জানা যায়, জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত প্রথমে চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-বøক যান। এরপর জি-বøক গিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের কাছ থেকে মিয়ানমারের সেনা ও বর্মীদের কর্তৃক নির্যাতন, হত্যাকান্ড এবং বসত-বাড়ি অগ্নিসংযোগের বর্ণনা শুনেন। এরপর কি কি পদক্ষেপ নিলে তারা স্বদেশে ফিরে যেতে আগ্রহী তার মতামত নেন জোলি।
এছাড়া বি-বøকের এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথেও মত বিনিময় করেন। এরপর বিকাল ৪টারদিকে তিনি ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে ইনানীতে অবস্থিত হোটেল রয়েল টিউলিপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারী উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন অস্থায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শণ করে এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হবেন বলে জানা গেছে।
প্রসংগত, তিনি ৪ ফেব্রæয়ারী সকালে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে পৌঁছেন। হলিউড বিখ্যাত অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০১২ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। আগামীকাল ৫ ফেব্রæয়ারী তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করবেন বলে জানা গেছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited