image

কোরবানির গরুর মাংস পাচ্ছে রোহিঙ্গারা

image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩০টি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা পাচ্ছে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতি পরিবারে ২ কেজি করে গরুর মাংস। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এনজিওর সমন্বয়ে এ গরুর মাংস বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেল বছরের ২৫ আগষ্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী, বিজিপি ও রাখাইন স্বসস্ত্র বাহিনীর অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবির ও পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দৃষ্টিতে তাদেরকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফে ৩০টি শিবিরে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। সাড়ে ৫ হাজার একর সরকারি বনভূমি সাবাড় করে রোহিঙ্গারা ঝুঁপড়ি বেঁধে বসবাস করলেও ২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা রয়েছে পাহাড় ধ্বসের আশংকায়। ইতিমধ্যে প্রশাসন ৮ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা পরিবারকে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য রোহিঙ্গাদেরকেও নিরাপদে স্থানান্তর করা হবে বলে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কাম্প পরিদর্শনকালে বলেছিলেন। গতকাল সোমবার কুতুপালং ক্যাম্প ঘুরে লম্বাশিয়ায় অবস্থানকারী রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে কথা হয় হামিদ হোসেনের সাথে। সে বলেন, মিয়ানমারে গরু জবাই করতে সামরিক জান্তা সরকারের অনুমতি লাগত এবং চলাচলেরও সুব্যবস্থা ছিলনা। কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে নিরাপদে দিন যাপন করতে পেরে ও ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে গরুর মাংস দেওয়ার কথা শুনে সে হাস্যোজ্জল হয়ে বলেন, যে যাহা বলুকনা কেন বাংলাদেশে আশ্রয় পেলে আমরা অত্যন্ত খুশি। বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝি লালু মিয়া বলেন, আমাদেরকে এনজিওর মাধ্যমে প্রশাসন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে গরুর মাংস দেওয়ার কথা শুনে অত্যন্ত খুশি লাগছে। গরুর মাংস না পেলেও যে আশ্রয়টুকু পেয়েছি তা মিয়ানমার জান্তার চেয়ে অত্যন্ত নিরাপদ। বালুখালী ২ নং ক্যাম্পের হেডমাঝি আবু তাহের বলেন, আমরা শুনেছি রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রশাসন এনজিওর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রতি ঘরে ঘরে গরুর মাংস পৌছিয়ে দেবে। এখন আমাদের আর কোন চিন্তা করতে হবেনা। ছেলে মেয়েদের নিয়ে দুমুঠো ঈদুল আযহার কোরবানের মাংস নিয়ে খেতে পারলে অত্যন্ত খুশি লাগবে। কক্সবাজার শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ইতিমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার গবাদি পশু ক্রয় করা হয়েছে। ঈদের দিন প্রতি পরিবারকে ২ কেজি করে মাংস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ হাজার মাংসের প্যাকেট ও ৪ শ গরু তার কাছে পৌছেছে। এনজিওদের মাধ্যমে এ গরুর মাংস বিতরণ করা হবে বলে সে জানিয়েছেন।