image

ধমকা ঝড়ো হাওয়ায় আনোয়ারায় মাদ্রাসা ভবন লন্ডভন্ড, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

image

আনোয়ারায় বছরের প্রথম ঝড়, শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতে পূর্ব গহিরা মুহাম্মদিয়া আখতারুজ্জামান সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসর টিনসেট ভবন সহ ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  মানুষের ঘরবাড়ি, মরিচ, বেগুন, শিম, আলু ক্ষেত, আমের মুকুলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষক এবং কৃষি অফিস।

সোমবার সকালে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি সেই সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।  বটতলী, জুইদন্ডী, রায়পুর,বারশত ইউনিয়নের বিভিন্ন জাগায় সড়কে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধহয়ে পড়ে। এসময় এস এস সি পরীক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয় বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। রায়পুর, দক্ষিণ গহিরা, পূর্ব গহিরা, সরেঙ্গা গ্রামের টিনের বাড়ী ঘরের চালা উল্টেপেলে। পূর্ব গহিরা মুহাম্মদিয়া আখতারুজ্জামান সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কাজী বদরুজ্জামান নঈমী জানান, সকালে মাদ্রাসা চলাকালীন হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় সম্পন্ন মাদ্রাসা উপড়ে পেলে। এসময় ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। শিক্ষার্থীরা দিকেদিক ছুটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। এতে মাদ্রাসার ব্যাপক ক্ষতি হয়।

রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, হঠাৎ ঝড়োবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি ঘর উপড়ে গেছে, নষ্ট হয়েছে গাছপালা। জমির ফসলও নষ্ট হয়েছে। তার দাবি  ইউনিয়নের উপকূলের মানুষের অধিকাংশ বাড়ি উপড়ে ফেলে।

বারশত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নের ঘরবাড়ির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লবন চাষীদের। হঠাৎ বৃষ্টিতে লবন চাষীদের উৎপাদিত লবন নষ্ট হয়েযায়।

বরুমচড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল গণি বলেন, বৃষ্টির চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ঝড় আর শিলাবৃষ্টি। এতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে কাঁচা বাড়িঘরও ভেঙে গেছে। সেগুলো মেরামত করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।