image

লোহাগাড়ায় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধবার ঘর ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ

image

একটু শান্তিতে ঘুমাতে কয়েকমাস আগে টিন ও ইট দিয়ে ঘর তোলেন বিধবা অসহায় শাহিন আক্তার। বাপের বাড়ি থেকে ইট ও টিন দিয়েছে তাকে। এছাড়াও পাড়া প্রতিবেশীদের দেওয়া চাঁদা, যাকাত, ফিতরার টাকা দিয়ে এ ঘর বাঁধে। ঘরের আরো অনেক কাজ বাকী। অভাবের কারণে করতে পারছে না ঘরের বাকী কাজ।

বিধবা শাহিন আক্তার(৪৫) লোহাগাড়ার চুনতির সাতগড় মাষ্টারপাড়া এলাকার মৃত আহমদ কবিরের স্ত্রী । 

দু'মাস যেতে না যেতেই কষ্টে গড়া ঘরটা ভেঙ্গে দেয়া হয়। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় বন কর্মকর্তারা এসে তার ঘর ভেঙ্গে দেয় বলে জানায় শাহিন আক্তার।

ইয়াছিন আরাফাত(১৭), মিনহাজ(১৪), ফরহাদ(১৬) তিন সন্তানের জননী এই বিধবা শাহিন আক্তার।

অসুস্থ বড় ছেলে ইয়াছিনকে কিছুদিন পরপর রক্ত দিতে হয়।

ইয়াছিন দুঃখ করে বলেন," লাখ লাখ রোহিঙ্গারা এদেশে স্থান পেলেও অথচ আমরা অসহায়।" বাড়ি নির্মাণে অনুমতি না থাকলেও বিধবা শাহিন আক্তারের আশেপাশে অনেক ঘর-বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে টিনের ঘর বাঁধতে ১০,০০০ টাকা, মাটির ঘর বাঁধতে ২০,০০০ টাকা, সেমিপাকা বা পাকা ঘর বাঁধতে ৫০,০০০/- টাকার মতো দিলে বাড়ি করা যায়, অন্যথায় বন কর্মকর্তারা এসে ভেঙ্গে দেয়।

সাতগড় বীট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ টাকা নেওয়া বা দাবী করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, "উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে এ ঘর ভাঙ্গা হয়েছে। টাকা দাবী করার কথা সম্পূর্ণ ভূয়া"।