image

দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্র’র ও.সি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়ার স্বেচ্ছায় রক্তদান অন্য পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধুদ্ধ করবে

image

"পুলিশ জনগণের বন্ধু'' উক্তিটির যথার্থতা প্রমাণ করে ক্যান্সার আক্রান্ত এক রোগীর জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের ও.সি (ইন্সপেক্টর) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।

জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার মধ্যম হাছনদন্ডী এলাকার জসিম চেয়ারম্যান বাড়ীর মোসাম্মৎ নুরুন্নেছা (৫৫) লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ২৪ নং ওয়ার্ডের ৫৪ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডাক্তার বলেছেন অপারেশনের জন্য ৪ ব্যাগ এ পজেটিভ রক্ত লাগবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৯টার মধ্যে। রোগীর ৪ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে কারো রক্তের গ্রুপের সাথেই মিলছেনা। বিভিন্ন ভাবে ৩ ব্যাগ যোগাড় হয়েছে। আর ১ব্যাগ কোন ভাবেই যোগাড় হচ্ছিলোনা। এর পর রোগীর ভাগ্নে এরশাদ বিষয়টি জানান, দোহাজারী পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'দোহাজারী ব্লাড ব্যাংক' এডমিন এস.এম ওয়াহিদ রনিকে। রনি ফেইসবুকে পোষ্ট করলে সেটি কপি করে নিজ টাইমলাইনে পোষ্ট করেন সিটিজি সংবাদ ডটকম চন্দনাইশ প্রতিনিধি ও সংগঠনটির কার্যকরী সদস্য মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা। তিনি পোষ্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ম্যাসেঞ্জারে নক দেন দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্র ও.সি (ইন্সপেক্টর) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।

রক্তদানের আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, " আমার রক্তের গ্রুপ এপজেটিভ, আমি চট্টগ্রামে আছি, জরুরী রক্তের প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন।" অবশেষে রাত সাড়ে আটটায় লাইফ সেইভ ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান সম্পন্ন করলেন মানবিক ও.সি।

এব্যাপারে মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা বলেন, "এমন মানবিক পুলিশ অফিসারকে স্যালুট জানাই। পান থেকে চুন খসলেই পুলিশের নেতিবাচক কর্মকান্ডের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকি আমরা। একবারও কি ভাবছি? পুলিশ ভীনগ্রহ থেকে আসা কোন প্রাণি নয়, তাঁরা আমাদের দেশেরই সন্তান। এদেশের সমাজ ব্যবস্থায় তাঁরা বেড়ে উঠেছেন। আমাদের মতই রক্ত মাংসে গড়া মানুষ তাঁরা। আমাদের মতো তাঁদেরও রয়েছে আবেগ-অনুভূতি, সর্বোপরি মানবিক হৃদয়। পুলিশ বাহিনীর গুটিকয়েক অসৎ পুলিশের নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারনে পুরো বাহিনীকে আমরা খারাপ বলতে পারি না।"

রক্তগ্রহীতার নুরুন্নেছার ভাগ্নে এরশাদ বলেন, "রক্তের প্রয়োজনে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও যখন রক্তদাতা পাচ্ছিলামনা। আমরা সবাই যখন উদ্বিগ্ন, ঠিক তখনই দেবদূত হয়ে হাজির হলেন রক্তদাতা। তাঁর পরিচয় যখন জানলাম তখন আমরা সবাই অবাক হয়ে গেলাম। অজানা-অচেনা একজন রোগীর জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন একজন ও.সি।  সমাজে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল।"