চট্টগ্রমের আনোয়ারায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আনোয়ারা-রুস্তমহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দে ভরে ওঠায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত বিকল হচ্ছে গাড়ী।
জানাযায়, আনোয়ারা সদর ও চট্টগ্রাম শহরের সাথে বটতলী, রায়পুর, জুঁইদন্ডী ও বারশত ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের যাতায়াতের পথ হলো আনোয়ারা-রুস্তমহাট সড়ক। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন অংশ জুড়ে খানাখন্দে ভরে ওঠায় যাত্রীরা কষ্ট পাচ্ছেন। সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় বিভিন্ন যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সড়কের পূর্ব বটতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মনুমিয়ার দীঘির পাড় পর্যন্ত তিন কিলো মিটারের বেশি অংশ একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। ওই অংশে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। ফলে বহু যানচলাচল করছে বিকল্প পথে ঝিওরী মাজার গেট এলাকা দিয়ে।
এদিকে, এ সড়কের নরক যন্ত্রণার কারণে বটতলী রুস্তমহাট থেকে অনেককে আট কিলো মিটার দুরের পথ ঘুরে সিইউএফএল সড়ক দিয়ে চাতরী চৌমুহনী হয়ে আনোয়ারা সদরে যেতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের পাশা পাশি আনোয়ারা কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির শোলকাটা, মনু মিয়ার দীঘি, ভগ্গন শাহের মাজার, পাইরগা পুকুর পাড় ও পূর্ব বটতলী এলাকায় খানা খন্দ। খানাখন্দ গুলো বড় আকারের হয়ে উঠায় সেখানে পানি জমে আছে। কয়েকটি স্থানের খানাখন্দে ইট দিয়ে ভরাট করা হলেও সেখানে উচুনিচু হয়ে আছে।
সিএনজি চালক সাইফুল ইসলম বলেন, সড়কে বড়বড় গর্ত হওয়ায় সেখানে পানি জমে আছে। ফলে গাড়ি পার করানোর সময় অনেক সময় গাড়ির ভেতরে পানি প্রবেশ করে যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে।
বটতলী ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান বলেন, মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর প্রচেষ্ঠায় সড়কটি নতুন ভাবে টেন্ডার হয়েছ,খুব শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন,সড়কটি মেরামতের জন্য প্রকল্প বরাদ্ধ হয়েছে। এ বছরেই মেরামত করা হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited