image

তিন মাসের নদী দখল মুক্ত কাজের অগ্রগতি দেখলেন নৌ সচিব

image

দখল-দূষণ মুক্তকরণসহ ড্রেজিং-এক্সেভেশন পূর্বক গভীরতা-প্রশস্ততা বৃদ্ধি ও ওয়াকওয়ে- ইকোপার্ক নির্মান, বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে ঢাকার চার পাশের নদীগুলো পরিচ্ছন্ন প্রবহমান করতে ও তীরভূমিতে স্বাস্হ্যকর নান্দনিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নিয়ে বর্তমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন সচিব  মো: আবদুস সামাদ। 

গত তিন মাসের উচ্ছেদ অভিযানের অগ্রগতি, উচ্ছেদ পরবর্তী গৃহীত কার্যক্রম ও সড়ক,রেলসহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক নদীগুলোর উপর নির্মিত/ নির্মাণাধীন লো-হাইট ব্রীজ গুলোর অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি শনিবার  সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  তুরাগ নদীতে গাবতলী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত এলাকা নৌপথে পরিদর্শণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে  ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলাম, সদস্য ( পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো: দেলোয়ার হেসেন, সদস্য (অর্থ) মো: নূরুল আলম, পরিচালক(বন্দর)  মো: শফিকুল হক, প্রধান প্রকৌশলী(পুর) মো: মহিদুল ইসলাম, পরিচালক(নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন) মো: শাহজাহান, অতি: পরিচালক( বন্দর)  মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলামসহ বিআইডব্লিউটিএ’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্হিত ছিলেন।

এ সময়  নৌ সচিব  উচ্ছেদ পরবর্তী চলমান ওয়াকওয়ে, জেটি ইকোপার্ক নির্মাণ; স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপন, নদীর গভীরতা-প্রশস্ততা বৃদ্ধিকরণ ও বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম সম্পর্কিত চলমান প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপের কথা সাংবাদিকদের অবহিত করেন।তিনি রাজস্ব বাজেট হতে তুরাগ নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ড্রেজিংসহ নদী প্রশস্তকরণের  কাজ দ্রুত শুরু করার বিষয়ে কর্মকর্তাদের নির্দশনা প্রদান করেন। উদ্ধারকৃত তীরভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় এরজন্য  মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে কর্মকর্তারদের  তাগিদ দেন।যে সমস্ত এলাকায় নদীতে  সরাসরি বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ম্যাজিষ্ট্রেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে সে সব এলাকায় ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানকে জেল-জরিমানার আওতায় আনায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের  জানান। এ ছাড়া পরিশোধন ব্যতিত যাতে স্যূয়েরেজ ড্রেনেজ শিল্প হাসপাতাল বর্জ্য নদীতে না ফেলা হয় এরজন্য ঢাকা ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন,স্থানীয় সরকার, শিল্প, স্বাস্হ্য, মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমূহের সাথে সমন্বয় করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। ঢাকা শহরের চারিদিকের নৌপথে নির্বিঘ্নভাবে কার্গোবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের লক্ষ্যে নদীগুলোর উপর বিদ্যমান ২০ টি লো-হাইট ব্রীজ ও নির্মাণাধীন ব্রীজগুলোর উচ্চতা ও পিলারের প্রশস্ততা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে  আলোচনা করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি  জানান।বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দীন উপস্হিত সাংবাদিকদের নদী উদ্ধার পরবর্তী কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন।