image

টেকনাফ পৌরসভার মধ্যম জালিয়া পাড়ার পরিত্যক্ত স্কুল ভবনেই চলছে পাঠদান

image

টেকনাফে পরিত্যক্ত এক স্কুল ভবন  মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভয়াবহ ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এনিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন চরম আতংকে রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভার মধ্যম জালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা একটি ভবন ঝরাঝীর্ণ হয়ে পড়ে আছে । অসহায় হয়ে নিতর ভবনটি দাঁড়িয়ে যেন কোন বিপদকে হাত ছানি দিয়ে ডাকছে।

পুরাতন ভবনটি ভয়াবহ ফাটল সৃষ্টি হয়ে ভবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ ছিড়ে পড়ে। এ ছাড়া পুরো ভবনের অনেকাংশ আস্তর ঝরে গিয়ে ইট লোহা বের হয়ে হেলে যায়। অনেক আগেই নষ্ট হয়ে পড়েছে উক্ত ভবনের দরজা-জানালা। ভয়াবহ ফাটলে ঝরাজীর্ণ হয়ে মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ভবনটি বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়ে গেলেও ভবিষ্যতে ভবন ধ্বসের মতো মারাত্মক ঝুঁকি হতে শিশু শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের রক্ষায় কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে উক্ত স্কুল ভবনটির ফাটল ও খন্ড খন্ড ভাংঙ্গন সৃষ্টি হওয়াতে ধ্বসে পড়ার আশংকায় স্থানীয় জনসাধারনের পক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়।

এ দিকে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে  ভারী বর্ষণের সময় উক্ত ভবন ধ্বসে পড়ার আশংকা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বৃষ্টির পানি ও নাফনদীর লোনা পানি ডুকে বিদ্যালয়ের মাঠ ও ভবন ঢুবে থাকে। পানির স্রোতে তলিয়ে যায় স্কুলের আঙিনার মাটি। ফলে ব্যাপকভাবে থলিয়ে যাওয়াতে হাটু পরিমাণ কাদা পানি জমে উঠে প্রায় সময়। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে উক্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকে বলেও স্থানীয়রা জানায়। তবে পরিচালনা কমিটি ও স্কুল শিক্ষকরা পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনে লেখা পাড়া চালিয়ে যাচ্ছে।

সুত্রে জানা যায়, স্কুলের পাকা একতলা ভবনটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়ে কয়েক বছর আগে নাফনদীর বাঁধ ভাঙ্গনের কারণে প্রায় ৪/৫ বছর লোনা পানির জুয়ার ভাটায় ডুবে থাকে স্কুলটি । যার ফলে স্কুলভবনটির  প্রত্যেকটা প্লিয়ারে ফাটল ধরেছে । স্কুলটি ব্যাবহার অযোগ্য হয়ে পড়ায় পাশের দুইতলা ভবনে ছাত্র -ছাত্রিরা ক্লাস নিচ্ছে।

ঐ দো’তলা ভবনে ছাত্র/ছাত্রীদের যাওয়ার কোনো রাস্তা না থাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের নিচ দিয়ে পাশের ভবনটিতে ক্লাস নিতে যায়। ফলে যে কোনো মূহুর্তে পুরাতন ঝাঁঝরা ভবনটি  ধ্বসে পড়ে  ছাত্র/ছাত্রীদের  প্রাণ হানি ও মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এছাড়া স্কুলটিতে খেলার মাট থাকায় শিশু কিশোররা  প্রচন্ড গরমের কারণে ছায়ার খুঁজে ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনটির ছাদের নিচে অবস্থান করে খেলাধুলা উপভোগ করে।যদি ভবনটি ধ্বসে পড়ে প্রাণহানীর মত দূর্ঘটনা হয় এর দায়বার নেবে কে? এই প্রশ্ন অত্রএলাকার সাধারণ জনগনের । 

এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পেয়ার বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ঝরাঝীর্ণ ভবনটি অকশনে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে যে কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।