image

টেকনাফে বন্দুক যুদ্ধে ইয়াবাকারবারী সিরাজুল নিহত : ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

image

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সাথে বন্দুক যুদ্ধে সিরাজুল ইসলাম ফিরু নিহত হয়েছে। এসময় ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও দুটি আগ্নোয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সিরাজ টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের আচারবনিয়া এলাকার ফজল আহমদের ছেলে। বুধবার (১৫ মে) রাত পৌণে ১০টার দিকে সাবরাং বেড়িবাঁধ এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে দাবী করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায় মেজর শরীফুল জোমাদ্দার জানান, বুধবার রাতে পুলিশ ও বিজিবির যৌথ টহলদল বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌছালে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের অবস্থার টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্তে পুলিশ ও বিজিবিও জবাবে গুলি ছুঁড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ সিরাজের মরদেহ পাওয়া যায়। 

নিহত সিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

এদিকে, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানিয়েছেন, ১৪ মে সোমবার রাতে তার নেতৃত্বে ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৫০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ আছারবনিয়া এলাকার মাদক কারবারী ফজলের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ফিরুকে আটক করা হয়। পরে টেকনাফ ২ বিজিবির কাছে হস্তান্ততাকে করা হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নূর হোসেন। এছাড়াও নুর হোসেন ঘটনাটি তার ফেসবুক ফেইজের ওয়ালে ছবিসহ তা পোষ্ট করেন।   

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, নিহত সিরাজুল ইসলাম  ফিরু  ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানীয় একটি বাজারে কাঁচা তরকারি বিক্রয়ের কাজ করতেন। এলাকায় ভদ্র এবং নম্র ছেলে হিসেবে পরিচিত। 

তরকারী বিক্রির আড়ালে সিরাজুল ইসলাম ফিরু ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের হয়ে ইয়াবা পাচার করে আসছে। মঙ্গলবার ৫০ হাজার পিছ  ইয়াবাসহ সিরাজুল ইসলাম ফিরু আটক হলে এর প্রকৃত মালিকের খোঁজে মাঠে নামেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে,  উদ্ধারকৃত ৫০ হাজার পিছ ইয়াবার প্রকৃত মালিক আচার বনিয়া গ্রামের মোঃ রাসেল। পাঁচ বছর আগেও নুন আনতে পান্তা ফুরাত এই রাসেলের। ইয়াবা কারবারের বদৌলতে এই রাসেল এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। গত তিন থেকে চার মাসের ভেতর দেড় কোটি টাকার জমিও কিনেছে ওই রাসেল। তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসী।