উখিয়ায় ব্যস্ততম ষ্টেশন কোটবাজারে নালার পানি রাস্তা উপরে চলে আসায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগে শত শত মুসল্লি,ব্যবসায়ীসহ পাঁচ গ্রামের এলাকাবাসী। কোটবাজারে পশ্চিম রত্না সড়কের এই বেহাল দশা দীর্ঘ মাসে শেষ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, কোটবাজার ষ্টেশনের দক্ষিণ পাশে কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘেঁষে চলে গেছে পশ্চিম রত্না সড়ক। সড়কটি কোটবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হওয়ায় শত শত মুসল্লি নামাজ আদায়ে চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। এইছাড়াও সড়কটি ব্যবহার করে চলাচল করে পাঁচ গ্রামের এলাকাবাসী। পাশাপাশি এই সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বিতরণকৃত ত্রাণের। ফলে সড়কটি হয়ে উঠেছে কোটবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় মসজিদ সড়কের উপরে নালার পানি এসে রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। নালার পানি আর রাস্তা মিলে একাকার হয়ে যাওয়ায় চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নালাটি কোটবাজারে সব ময়লা পানির একমাত্র নালা হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বিশ্রি দুর্গন্ধ।
এইছাড়াও দেখা যায়, মসজিদের সামনে করা হয়েছে আবর্জনার স্তুপ। ফলে নালা আর আর্বজনার দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নামাজ আদায় করা সহ পাশ্ববর্তী এলাকাবাসীর জীবন। পবিত্র রমজানেও মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে দুর্ভোগ পোহাতে হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুসল্লিরা।
সড়কের ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, স্টেশনের ব্যস্ততম সড়কটি নালার পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচল করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোকানে আসার জন্য রাস্তা পার হতে না পারায় কাস্টমার কমে গেছে। একই অভিযোগ করেন রোহিঙ্গা মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী।
কোটবাজার জামে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি আবরার শাওন রোস্তম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, উখিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ কোটবাজারে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ময়লার স্তুপ করে রাখা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। পবিত্র রমজান মাসেও ময়লায় আর নালার পানির দুর্গন্ধে মসজিদে নামাজ পড়াটা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নামাজ শেষে বের হতে গিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এক পাশে চলতে গেলে অন্য পাশের লোকজন টাই দাড়িয়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা বিকাশের উখিয়া শাখার কমপ্লায়েন্স অফিসার শামস মানিক বলেন, আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এই পশ্চিম রত্নার মসজিদ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে নালার পানি ও মসজিদের সামনে ময়লার স্তুপ করে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। এই রাস্তা এখন চলা ফের করার অবস্থা নেই। নালার পানিতে ডুব দিয়ে পার হতে হচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন এনজিও সংস্থা হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম বলেন, কোটবাজারের সবচেয়ে পরিছন্ন রাস্তা ছিলো পশ্চিম রত্না মসজিদ সড়কটি। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি নালা আর ময়লার স্তুপে পরিণত। মসজিদের পাশে আমাদের অফিসে খুব কষ্টে বসে থেকে অফিস করতে হচ্ছে আমাদেরকে ও। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পরিচ্ছন্ন কোটবাজারে কেন্দ্রীয় মসজিদ রোডের এই অবস্থা দায়ভার আদৌ কার?
এদিকে কোটবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের ময়লার স্তুপ সরানো ও নালার পানির দুর্ভোগ থেকে অতিসত্বর মুক্তি পেতে ইউএনও মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন শত শত মুসল্লি ও পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা।
Developed By Muktodhara Technology Limited