image

ঈদ সামনে রেখে সরগরম দোহাজারী'র টেইলার্সগুলোঃ দর্জি কারিগরদের নির্ঘুম কর্মব্যস্ততা

image

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহরখ্যাত দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেটের টেইলার্সগুলো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক ডেলিভারী দিতে নির্ঘুম কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন দর্জি কারিগরেরা। ঈদের দিন অধিকাংশ ছেলেরা পাঞ্জাবি-পাজামা পড়েন। তাই টেইলার্সগুলোতে ছেলেদের ভীড় বেশি দেখা গেছে। দোকান থেকে পছন্দের থান কাপড় কিনে পাঞ্জাবি-পাজামা সেলাই করতে দিচ্ছেন। অনেকে রেডিমেড কেনা পাঞ্জাবি-শার্টে আলাদা কাপড়ের গলা ও হাত লাগাচ্ছেন। অনেকে আবার এমব্রয়ডারির কাজ করছেন।

সরেজমিনে রবিবার (১৯ মে) রাতে মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে পাঞ্জাবি-শার্টের পিস ও থানকাপড় গজ হিসেবে কিনছেন মানুষ। এরপর পছন্দের ডিজাইনে সেলাই করার জন্য টেইলার্সগুলোতে দর্জি কারিগরদের কাছে গায়ের মাপ দিচ্ছেন। ছেলেরা পাঞ্জাবি, পাজামা, শার্ট, প্যান্ট আর মেয়েরা থ্রিপিস, সালোয়ার, কামিজের অর্ডার দিচ্ছেন। দোহাজারী পৌরসভার হাজারী টাওয়ার, হাজারী শপিং সেন্টার, খানপ্লাজা, শামসুদ্দিন সুপার মার্কেট, আকবর মার্কেটের বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কাটার মাষ্টার কাপড়ের মাপ নিয়ে সাইজ অনুযায়ী কেঁটে-ছেঁটে সেলাই করার জন্য দর্জি কারিগরদের সামনে স্তুপ করে দিচ্ছেন। দর্জি কারিগরেরা একমন-একধ্যানে সেলাই করে যাচ্ছেন। দম ফেলার সময় নেই করারোরই। সেলাই মেশিনের শব্দে দর্জি কারিগরদের সাথে কথা বলাও দায় হয়ে পড়েছে।

খান প্লাজার ফেন্সি টেইলার্সের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন বলেন, "বছরের এই সময়টাতে আমাদের বাড়তি কাজের চাপ থাকে। চার জন কারিগর পালাক্রমে দিনের চব্বিশ ঘন্টাই কাজ করেন। পঁচিশ রোজার পর কাজের চাপ থাকবে আরো বেশি। বিশ রোজার পর অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেবো।" তার দোকানে প্যান্ট চার'শ টাকা, পাঞ্জাবি তিন'শ টাকা, থ্রিপিস নরমাল দুই'শ টাকা, ডাবল পাঁচ'শ-আট'শ টাকা মজুরী নেন বলে জানান তিনি।

হাজারী টাওয়ারের লেডিস কর্নারে গিয়ে দেখা গেছে, ঘেমে-নেয়ে কাপড় সেলাই করছেন দর্জি কারিগরেরা। কথা হয় টেইলার্সটির কাটার মাষ্টার রঞ্জিত নাথের সাথে।

তিনি বলেন, "তিন জন কারিগর কাজ করছে। সময়মত অর্ডার ডেলিভারী দেয়ার জন্য দিন-রাত সমানতালে কাজ করতে হচ্ছে।"

খান প্লাজার ভিআইপি টেইলার্সের সত্বাধিকারী আব্দুর রহিম বলেন, "আমার প্রতিষ্ঠানে সাত জন কারিগর আছে, এছাড়া মার্কেটের দশ-বারটি টেইলার্সের প্রতিটিতে গড়ে চার-ছয় জন করে দর্জি কারিগর আছেন। রমজান মাসে অনেকে অর্ডার নিয়ে সামলে উঠতে না পারার দরুন অনেক ক্রেতাকে ফেরৎ দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত কর্মচারী রেখেও কাজের চাপ সামলানো কঠিন হচ্ছে।"