image

ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের লাগামহীন টোকেন বাণিজ্য

image

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের টিআই কামরুজ্জামান বকুলের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন আটকানো- নগদ টায় ছেড়ে দেয়াসহ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্বেও গ্রাম থেকে শহরে প্রবেশকৃত বিভিন্ন যানবাহন আটকিয়ে জোর পূর্বক টাকা আদায়ের অহরহ ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা মতো টাঁদা না দিলে চালক ও মালিকদের নাজেহাল করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের ঈদ বাণিজ্য বন্ধ করা, ন্যায় বিচার ও হয়রানি থেকে বাচার জন্য চালক ও মালিকরা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে প্রতি মাসে ঘুষের লেনদেন হয় কোটি টাকার। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর অফিসের বাইরে তারও দুই গুন পকেটে ঢুকে ট্রাফিক পুলিশের। ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। কথায় আছে, ‘আকাশে যতো তারা, ট্রাফিক পুলিশের ততো ধারা’। ঠিক এই কথার মতো নানা ধারা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। এভাবে হয়রানি চলছে প্রতিনিয়ত। শহরের বিভিন্ন মোড় ঘুরে দেখা যায়, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা, টমটম, বেটারী চালিত রিক্সা ও ছোট-বড় বাস কাউন্টার কেন্দ্রিক এসব বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। বলা চলে শহরের ট্রাফিক অফিস এখন টাকার গাছে পরিণত হয়েছে, যে গাছে ঝাঁকি দিলেই টাকা পড়ে। তাই রং ঢং দিয়ে একটু ভিন্ন চাওয়া তাদের।

অভিযোগে জানা গেছে, কক্সবাজার শহর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শাখা ট্রাফিক বিভাগে বর্তমানে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই),সার্জেন্ট সহ কনস্টেবলরা বিভিন্ন যানবাহন থেকে টোকেন ভিত্তিক অন্তত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে প্রতি মাসে। অবৈধ, অনুমোদন বিহীন ও অতিরিক্ত গাড়ী চলাচলের ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকলেও মূলত: ট্রাফিক পুলিশের কোটি টাকার মাসোহারা আদায়ের কারণেই এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।এতে দেশের পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজার শহর পরিণত হয়েছে যানজটের নগরীতে; বিরূপ প্রভাব পড়ছে পর্যটন শিল্পের উপরও। নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ট্রাফিক পুলিশের কাছে চাহিদা টাকা দিলেই অবৈধ গাড়ী তাৎক্ষণিক বৈধ হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে পরিবহন সংশ্লিস্টদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে শহরের বিভিন্ন মোড় কেন্দ্রিক প্রতিদিন তো বটেই মাসোহারাও আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া শহরের ট্রাফিক কার্যালয়ের পাশাপাশি স্পট কেন্দ্রিক চাঁদা আদায়ও রূপ নিয়েছে বেপরোয়াভাবে। এতে অবৈধ গাড়ীর পাশাপাশি বৈধ গাড়ী ও চালকদেরও হয়রানি হতে হচ্ছে; এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

সরেজমিন শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, শহরের বেশকিছু মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা রাস্তায় গাড়ী থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। এতে অবৈধ গাড়ী ও চালকেদের পাশাপাশি বৈধরাও বাদ যাচ্ছে না। তাদের চাঁদা আদায়ের ধরণ ঠিক যেন, ‘আকাশের যত তাঁরা, ট্রাফিক পুলিশের তত ধারা’ । সামান্য ছুঁতো পেলেই আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। বৈধ হলেও টাকা না দিয়ে রেহাই মিলছে না ; এমন অভিযোগ চালকদের। এছাড়াও কক্সবাজার শহরেই ট্রাফিক পুলিশের নামে চলছে কয়েক’শ অবৈধ টমটম। যেগুলো প্রতি মাসে টাকা নেন ট্রাফিক পুলিশের কনষ্টেবল নুর ন্নবী।ভূক্তভোগী চালক ও মালিকদের ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে, রাস্তায় চলাচলকারি যানবাহন তো বটেই; পাশাপাশি মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, বাস-মিনিবাস, ট্রাক-মিনিট্রাকের টার্মিনাল এবং কাউন্টার কেন্দ্রিকও চলে চাঁদাবাজী। এতে স্পট কেন্দ্রিকের পাশাপাশি মাস ভিত্তিকও চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। বৈধ হলে হাজার থেকে অন্তত ১০ হাজার এবং অবৈধ হলে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্তও চাঁদা।অভিযোগ রয়েছে, গাড়ী ধরা বাণিজ্যে হাত রেখে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (প্রশাসন) কামরুজ্জামান বকুল। তার হাতেই চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারন চালকরা। ভুক্তভোগী অনেকে উপর মহলে লিখিত অভিযোগ করেও কোন ধরণের সন্তোষজনক সমাধান পাননি বলেই হয়রানির শিকার হলেও এখন আর অভিযোগ দিতে চাননা।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন, সাধারন চালক ও মালিককে জিম্মি করে টাকা আদায়ের মহোৎসব চলছে। চাহিদা মতো টাকা দিলে আটক হওয়া গাড়ী ছেড়ে দেওয়া হয় অন্যথায় কপালে জুটে মামলা নামক হয়রানী। এসব কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তারা এসবের দ্রুত প্রতিকার চান।এসবের পেছনে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) কামরুজ্জামান বকুল ও সাইফুল । তাদের নেতৃত্বে টিএসআই মো. ইউসূফসহ ১০ জনের একটি টিম পুরো কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে এমন চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।টাকা না দিলে সেটা অবৈধ ও মামলার হুমকি দেয়া হয় আর টাকা দিলে মুহুর্তের মধ্যে সেই গাড়ী বৈধ হয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত ২০ হাজার ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে অর্ধশতাধিক যানবাহন ছেড়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। কাগজপত্র ছাড়া গাড়ীকে বলা যায় এক প্রকার টাকার মেশিন। এতে টাকা আদায়েও সুবিধা হয় দেদারচ্ছে।এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী চালক জানান, কলাতলী থেকে তার সিএনজির কাগজপত্র চেক করার নামে নিয়ে আসা হয় ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে। এরপর আসতে থাকে শুধুই মামলার হুমকি। কিন্তু ৫ হাজার টাকা দিতেই গাড়ীটি আর অবৈধ থাকেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে টাকা দেওয়ায় অবৈধ গাড়ীটি হয়ে যায় বৈধ। প্রতিনিয়ত কাগজপত্র সঠিক থাকলেও হয়রানি আর না থাকলেও হয়রানি; এ যেন রীতি হয়ে পড়েছে ট্রাফিক পুলিশের। একই কথা জানালের ঈদগাঁও থেকে আসা বেশ কয়েকজন সিএনজি ও মাহিন্দ্র চালক।কিন্তু সরেজমিন দেখে সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে, ট্রাফিক পুলিশের আদায় করা প্রতিমাসের মোটা অংকের টাকার ভাগ পৌঁছে পুলিশের উপরি মহলেও। ভূক্তভোগী গাড়ীর চালক ও মালিক প্রতিনিয়ত হয়রানি এবং চাঁদাবাজীর শিকার হলেও তারা অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে চান না। কারণ পরবর্তীতে আবারো একই ধরণের হয়রানি করার হুমকির ভয় দেখিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এমন হুমকির মুখে কেউ সাংবাদিকদের কাছেও বা কোন ধরণের অভিযোগ দিতে চান না; কারণ তাদের আবারো হয়রানির ভয় পিছু লেগে থাকে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদা উত্তোলনের জন্য একটি ছক তৈরি করেছে। ছক অনুযায়ী পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত পরিমান টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। হয়রানির ভয়ে ট্রাফিক পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে হচ্ছে পরিবহন চালক ও মালিকদের।নাম্বার বিহীন সিএনজি ও মাহিন্দ্র গাড়ির চালক-মালিকদের নিকট এধরনের টোকেন বিক্রি । চালকদের ভাষায় কেইচ স্লিপ।ট্রাফিক পুলিশের ছক অনুযায়ী, দৈনিক ও মাসোহারা আদায়ে কাজ করছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এরা প্রতিমাসে কক্সবাজার শহরের ভোলা বাবুর ফিলিং ষ্টেশনে, বাজারঘাটা, লালদীঘিরপাড়, কলাতলি, বাস টার্মিনালের তিনটি স্টেশনে আসা বিভিন্ন এলাকার সিএনজি , মাহিন্দ্র থেকে ২ হাজার ৪ শ‘ টাকা, শহরের চলাচলরত প্রতি ইজিবাইক (টমটম) থেকে ১২ শ‘ টাকা, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ১২ শ‘ টাকা। আর এসব টাকা তুলতে নেতৃত্বে রয়েছে কবির, জসিম, লিয়াকত ও জয়নালসহ ২০ জন ।বিশেষ করে ভোলা বাবুর ফিলিং ষ্টেশনের কবিরের নেতৃত্বে তোলা হয় ট্রাফিক পুলিশের নামে চাঁদার এ টাকা। একটি টোকেন (চালকদের ভাষায় কেইচ স্লিপ) দেয়া হয়। এই টোকেনে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ একটি সিল থাকে, আর সিলের উপর থাকে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের স্বাক্ষর। কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ ( শহর যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শাখা) চট্টগ্রাম থ- সিরিয়াল, নাম্বার বিহীন সিএনজি ও মাহিন্দ্র গাড়ির চালক-মালিকদের নিকট এধরনের টোকেন বিক্রি ( চালকদের ভাষায় কেইচ স্লিপ) করে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। সঙ্গত কারণে কিছু রেখা লাল কালিতে ডেকে রাখা হলো। এধরনের টোকেন নিয়ে কয়েক হাজার সিএনজি-মাহিন্দ্র সহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলছে।এদিকে, বর্তমান টিআই কামরুজ্জাম বকুল পুরো যানবাহন শাখা নিয়ন্ত্রণ করছে। ইতোপূর্বে অন্তত ৪ বছর ট্রাফিক সার্জেন্ট ছিলেন এখানে। কক্সবাজার শহর যানবাহন শাখা হতে তার পদোন্নতি হয়। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হওয়ার পরই একই স্থানে রয়ে যান। মধু হাড়ি হিসেবে খ্যাত কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগেই তিনি অন্তত ৭ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন একই অফিসে।পরিবহন চালক ও মালিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রতিমাসে ইউনিক পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, হানিফ পরিবহন, সৌদিয়া, এস.আলম, গ্রীনলাইন, টিআর পরিবহন, দেশ ট্রাভেলস, তিশা পরিবহণ, শ্যামলী পরিবহন, টেকনাফ রোডে চলাচল করা নাফ স্পেশাল সার্ভিসসহ এসব বাসের মালিকদের কাছ থেকে কাউন্টার প্রতি ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয় ট্রাফিক পুলিশ।এছাড়া প্রতিমাসে ট্রাক মালিক সমিতির কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা, ২টি সিএনজি সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা, ঈদগাহ রোডে চলাচল করা মাইক্রোবাসের থেকে ১০ হাজার টাকা, চকরিয়া রোডের মাইক্রোবাসের নাসিরের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, রামু লাইন ও কক্সলাইন থেকে ৭ হাজার টাকা, ঈদগাহ লাইন থেকে ৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন রুটের চলাচল করা চাঁদের গাড়ি থেকে গাড়ী প্রতি ৩ হাজার টাকা, উখিয়া রুটে চলাচল করা ছারপোকা গাড়ির জনৈক হেলাল উদ্দিনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা, খুরুশকূল-চৌফলদন্ডি রোডের জনৈক দেলোয়ার হোসেনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা চাঁদা উঠিয়ে নেন।জেলার সচেতন মহলের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদা আদায় বন্ধ না হলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের যানজট নিরসন সম্ভব হবে না। এতে শহরটি যানজটের নগরীতে পরিণত হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে পর্যটন শিল্পের উপরও; পর্যটকদের ভোগান্তির কারণে দিন দিন তারা কক্সবাজার বিমুখ হতে বাধ্য হবে। তাই পর্যটন শিল্পের স্বার্থে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজীর লাগাম টেনে ধরা জরুরী।এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বাবুল চন্দ্র বণিকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন ধরণের সাড়া না দেয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।তবে এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) কামরুজ্জামান বকুলের সঙ্গে কথা হলে বলেন, একপ্রকার তিনি সিএনজি ও মাহিন্দ্র থেকে টাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের নামে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে সিএনজি ও মাহিন্দ্র ছাড়া অন্য যানবাহন থেকে চাঁদা বা মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয় বলেন। যদি কেউ তা করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার শহরে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে যানজট নিরসন করা একা সম্ভব নয়।এ জন্য জেলা প্রশাসন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী। কারণ যত্রতত্র গড়ে উঠা গাড়ী পার্কিংগুলো অনুমতি দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শহরের প্রধান সড়কে ব্যাংক-বীমাসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান থাকায় সেগুলোর সেবাগ্রহীতাদের গাড়ীগুলোর রাস্তার উপরেই পার্কিং করে থাকে। পাশাপাশি ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত গাড়ীগুলোও চলাচলের অনুমতি দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।যানজটের জন্য ট্রাফিক পুলিশের উপর রাজনৈতিক নেতাদের চাপও অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।