image

আইনী লড়াই শেষে ঢাকার সদরঘাটে বিআইডব্লুটিএ’র অভিযানে ২৭ দোকান উচ্ছেদ

image

অবৈধ দোকান ভাঙ্গতে শেষ পর্যন্ত বিআইডব্লুটিএ কে দীর্ঘ আইনি লড়াই করে ২৭টি দোকান উচ্ছেদ করতে হলো। 

আপিলেট ডিভিশনের রায়ে সদরঘাটে ঢাকা নদী বন্দরের পুরাতন টার্মিনালের ভেতরের  ২৭ টি দোকান মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙ্গা শুরু করে।এ  সময় বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক( বন্দর)  মো: শফিকুল হক উপস্থিত ছিলেন। এই অপসারণ কার্যক্রমের ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা টার্মিনালটির কাঙ্খিত আধুনিকায়ণ কাজের বাঁধা দুরীভূত হলো বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন।ঢাকা নদী বন্দের দায়ীত্বে থাকা একেএম আরিফ উদ্দীন জানান,টার্মিনালটির নদীর দিকের দেওয়াল সংস্কার করে স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়াল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে করে টার্মিনালে অপেক্ষয়মান যাত্রী সাধারণ সহজেই নদী ও নৌযান দেখতে পান। এছাড়া দোকানগুলোর ছত্রছায়ায় পন্টুনে ভাসমান হকারের উপদ্রব পুরোপুরি মুক্ত হওয়াসহ দোকান ও হকারদের ব্যবসায়িক বর্জ্যে টার্মিনালের সম্মুখ অংশের নদী দূষিত হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি  মনে করেন।

যাত্রী সাধারণকে পূর্ব হতেই বাসা থেকে বা টার্মিনাল প্রবেশের পূর্বেই প্রয়োজনীয় খাবারসহ পানীয় সংগ্রহ করে টার্মিনালের ভিতরে  প্রবেশ করার জন্য এবং টার্মিনালে অবস্থানকালীন নিজেদের ব্যবহার্য জনিত ময়লা আবর্জনা টার্মিনালে রক্ষিত ডাষ্টবিন সমূহে ফেলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন কর্মকর্তারা। জরুরী প্রয়োজনে যাত্রী সাধারণ যাতে করে লন্চের মধ্যে থাকা দোকান বা কেন্টিন থেকে বাজার মূল্যে  প্রয়োজনীয় পন্য বা নাস্তা, খাবার,পানীয় কিনতে পারেন এবং লন্চের/লন্চস্টাফ, যাত্রীদের ব্যবহার্যের জিনিসপত্র বা খাবারের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য যেন নদীতে না ফেলে লন্চের ডাষ্টবিনে ফেলে উপযুক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আওতায় আনা হয় তজ্জন্য লন্চ কর্তৃপক্ষসমূহকে ইতোমধ্যে অনুরোধসহ কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

তিনি যাত্রী সাধারণের সচেতন সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত পদক্ষেপে  নির্বিঘ্ন যাত্রীবন্ধব পরিচ্ছন্ন নদী বন্দর ও নদী গড়ে তুলতে সরকারের আগ্রহের কথা জানান।