এক সময়ের শিবির ক্যাডার ও নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামী রিয়াজুল হাসান খোকনের নেতৃত্বে চলছে দীর্ঘদিন ইয়াবা কারবার। সপ্তাহে কয়েকটি চালান নিয়ে আসে কক্সবাজারে। আর কক্সবাজারের ফজল মার্কেটস্থ একটি আবাসিক হোটেলে স্টক করে ওখান থেকে তার ভাই আরিফ পাঠায় চট্টগ্রামে। আর চট্টগ্রাম থেকে খোকনের বড় ভাই কামরুল চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। তাদের দেশব্যাপী রয়েছে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। কক্সবাজার -টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের এতোগুলো চেকপোষ্ট থাকার পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান রীতিমতো নিয়ে আসার বিষয়টি স্থানীয়দের মাঘে বিস্ময়কর।
২০১২ সাল থেকে অত্যন্ত গোপনে পরিবারটি জড়িত রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়। অবশ্য ২০১৩ সালে এই ইয়াবা পরিবারের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মাদক কারবারিদের একটি তালিকা তৈরি করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দিয়েছিলেন। ওই তালিকায় ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ইয়াবা ব্যবসায়ী খোকনের ভাই মো. আরিফের নাম রয়েছে। কিন্তু বরাবরই তারা ছিল অধরা।
হঠাৎ করে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পুরানপাড়া এলাকার ডা. নজরুলের ছেলেদের মধ্যে রিয়াজুল হাসান প্রকাশ খোনক, মো. আরিফ ও কামরুল এর অস্বাভাবিক উত্তান দেখে এলাকাবাসীও হতবাক হয়ে গেছেন। পুরো পরিবারের দৃশ্যমান কোন পেশা নেই, এরপরেও কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বাড়ি নির্মাণাধীন। এই পরিবারের সদস্যরা টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে সহ বিভিন্ন স্থানে স্বনামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছে। কি করে এসব সম্ভব, তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও কৌতুহলের শেষ নেই। নিউজ কক্সবাজার ডটকম এর অনুসন্থানে বেরিয়ে এসেছে পিলে চমকানো সব তথ্য।
অনুসসন্ধানে জানা গেছে, নামে বেকার ভিতরে ইয়াবা ব্যবসায়ী রিয়াজুল হাসান খোকন, তার ভাই মো. আরিফ ও দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার, নাশকতার অভিযোগে দুই মামলার আসামী রিয়াজুল হাসান প্রকাশ খোকন। স¤প্রতি আওয়ামীলীগ অফিসও ভাংচুর, জাতির জনক ও প্রধান মন্ত্রীর ছবিও ভাংচুর করে এই শিবির ক্যাডার দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিল। ইয়াবা ব্যবসায়ী খোকন, আরিফ, কামরুল সহ সব ভাই বেকার হলেও বানাচ্ছে দুটি বাড়ী। টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমি কেনা, বায়না করেছে অনেক জমি। এতো টাকার উৎস!!!
লোকমুখে তথ্যটি প্রকাশ হওয়ার পর এই তিন ভাইয়ের আয়ের উৎস খুঁজতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে টাকার উৎস সম্পর্কে রোমহর্ষক তথ্যও পেয়েছে তদন্ত দল। তাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বেকার এই যুবকরা রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার মামলার আসামী রিয়াজুল হাসান খোকন,তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মো, আরিফ ও কামরুল পুরো ইউনিয়নে গড়ে তুলেছেন ইয়াবার সাম্রাজ্য। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে একএক ভাই এক এক সময় পরিচয় বহন করে। কখনো সাংবাদিক কখনো ইঞ্জিনিয়ার কখনো মৎস্য ব্যবসায়ী পরিচয় দেন। মুলত তাদের ইয়াবা ব্যবসা এখন পরিবারিক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, মাদক ব্যবসা থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় ২০১৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মাদক কারবারিদের একটি তালিকা তৈরি করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দিয়েছিলেন। ওই তালিকায় ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ইয়াবা ব্যবসায়ী খোকনের ভাই মো. আরিফের নাম রয়েছে।
তৎসময়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো রেজুলেশনে বলা হয়েছে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিয়ন পর্যায়ের চোরাকারবারি, ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের কারণে সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
ওই তালিকা ধরে তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আরিফসহ তালিকায় থাকা কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তবে তালিকার থাকা ইয়াবা হাবিব উলাহ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন গত বছর। হাবিব উলাহ নিহত হওয়ার পর খোকন, আরিফসহ অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার এলাকায় ফিরে এসে নতুন উদ্যমে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছেন তারা।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, খোকন নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো ছাত্র আবার তার ভাই আরিফ নিজেকে সিভিল ইঞিইনয়ার ও জমি ব্যবসায়ী দাবি করলেও দৃশত তার কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। মূলত ইয়াবা ব্যবসা আড়াল করতেই এমন প্রচারণা চালান তারা।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, খোকন, আরিফ সকলেই বেকার যুবক। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসে শামলাপুর পুরানপাড়ার নৌকা ঘাটকে মিনি হাট বানিয়েছে খোকন। এখান থেকে খোকনের সহযোগীরা ইয়াবার চালান নিয়ে গোপন স্থানে জমান। পরে সুবিধা মতো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে দেন। এভাবে গোপনে কোটিপতি হয়ে গেছে ইয়াবা খোকন ও তার পরিবার।
এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যমতে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধী মুসলিম লীগ নেতা এরশাদুর হক এশা মেম্বারের নাতি খোকন, আরিফ ও কামরুল। তারা পুরো পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ইউনিয়ন ও উপজেলাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা প্রণয়নের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ মতে, ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মৌলভী হাবিব উলাহর সভাপতিত্বে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউনিয়নপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ১০ জনের তালিকা করা হয়। ওই তালিকার নাম রয়েছে রিয়াজুল হাসান প্রকাশ খোকনের বড় ভাই মো. আরিফের। তিনি শামলাপুর পুরানপাড়া এলাকার ডাক্তার নজরুলের ছেলে। ওই তালিকায় থাকা নয়াপাড়া এলাকার হাবিব উলাহ ২০১৮ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এছাড়া তালিকায় রয়েছেন খোকনের মামা সহ রয়েছে ১০ জন।
সাবেক চেয়ারম্যান মৌলভী হাবিব উলাহ বলেন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা একটি তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়েছিলাম। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিল। তবে পরবর্তীতে আর কি হয়েছে তা আমি আর জানি না। ইয়াবার অভিযোগ ছাড়াও শিবির ক্যাডার খোকনের বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সহ আরও বেশ কয়েকজনের দেয়া থানায় অভিযোগ। কিন্তু ইয়াবার টাকায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করায় খোকন, আরিফকে ছুঁতে পারে না কেউ।
নাম প্রকাশ না করা শর্র্তে কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রিয়াজুল হাসান প্রকাশ খোকনের ইয়াবা খুচরা বিক্রি করেন ইয়াবা ব্যবসায়ী ঈমান শরীফ। খোকনের ইয়াবা পাচার করে তা গোয়েন্দার মাধ্যমে তদন্ত দিলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। খোকনের পার্টনার রয়েছে টেকনাফের ইয়াবা রানী রাহেলা।এছাড়াও ইয়াবা ব্যবসা র্নিবিঘেœ করতে খোকন নিজেকে ও পুরো পরিবারকে রক্ষার কৌশল হিসেবে কক্সবাজার শহরের কিছু সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ইয়াবা গডফাদারদের কাছ থেকে শহরের এক সিনিয়র সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে মাসোহারাও নেয় বলে গোয়েন্দা সুত্রে জানা গেছে।
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে তার ভাই আরিফের ইয়াবা আস্তানা ঘেরেছে। এই আরিফ তালিকাভুক্ত আরিফই বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। এরা পুরো পরিবার শুধু ইয়াবা ব্যবসায়ী নয় শুধু এরা সেবনকারীও। উত্তর শীলখালীর বাসিন্দা হত্যা, ইয়াবা, পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র মামলার পলাতক আসামী আবুল বশর আবুইল্যাই তারা তিন ভাইয়ের নিয়ন্ত্রক বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, শিবির ক্যাডার খোকনের ইয়াবা পাচার করেন আরেক ভাই কামরুল। সে চট্টগ্রামে অবস্থান চট্টগ্রামেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চট্টগ্রামে খোকনের ইয়াবা গুলো তার ভাই কামরুল স্টক রাখেন এবং কামরুল একজন ইয়াবা সেবনকারীও সেটা এলাকাবাসী এবং প্রশাসনও জানে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্র্তে কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রিয়াজুল হাসান প্রকাশ খোকনের ইয়াবা খুচরা বিক্রি করেন ইয়াবা ব্যবসায়ী ঈমান শরীফ। খোকনের ইয়াবা পাচার করে তা গোয়েন্দার মাধ্যমে তদন্ত দিলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। খোকনের পার্টনার রয়েছে টেকনাফের ইয়াবা রানী রাহেলা।
এলাকাবাসী আরো জানান, শিবির ক্যাডার খোকনের ইয়াবা পাচার করেন আরেক ভাই কামরুল। সে চট্টগ্রামে অবস্থান চট্টগ্রামেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চট্টগ্রামে খোকনের ইয়াবা গুলো তার ভাই কামরুল স্টক রাখেন এবং কামরুল একজন ইয়াবা সেবনকারীও সেটা এলাকাবাসী এবং প্রশাসনও জানে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, খোকন ও তার আপন আরেক বড় ভাই কামরুল একসাথে বসে ইয়াবা সেবন করে আসছে। তাদের ইয়াবা বহনকারী ঈমান শরীফের বাড়ীতেই প্রতিদিন বসতো ইয়াবা সেবনের আসর। গুচ্ছগ্রাম পাড়া আবু ছিদ্দিকের বাড়ীতেও ইয়াবা সেবন করতো খোকন। কিছুদিন আগে প্রশাসন আবু ছিদ্দিককে আটক করলে খোকন অনেক তদবির করেছিল। কিন্তু পারেনি। সেই তদবির কাজে আসেনি। বর্তমানে খোকনের বাড়ী পাশ্বে তার ইয়াবা বহনকারী ঈমান শরীফের বাসায় ইয়াবা সেবনের আসর বসায় দলবল নিয়ে। খোকনের ইয়াবা সেবন করে সবাই।
স্থানীয় শামলাপুর জুমপাড়ার আরেফা নামের এক মেয়ে সাথে বিয়ের হয়েছিল মনখালী এলাকা প্রবাসী মানিকের সাথে। এই খোকন ইয়াবা ব্যবসার টাকার লোভে ফেলে তুলে নিয়ে গোপনে বিয়ের নামে নিজের কাছে ২ বছর রাখে। প্রবাসী মানিকের সংসার ভেঙ্গে যায়। কিন্তু প্রবাসীর সেই স্ত্রীও এখন অনেকটা পথে পথে বলে জানান এলাকাবাসী। শিবির ক্যাডার খোকনের বিরুদ্ধে শুধু ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ নয়, ইয়াবা সেবন সহ নাশকতার অভিযোগে দুই মামলার আসামী রিয়াজুল হাসান প্রকাশ খোকন। স¤প্রতি আওয়ামীলীগ অফিসও ভাংচুর, জাতির জনক ও প্রধান মন্ত্রীর ছবিও ভাংচুর করা সহ তার বিরুদ্ধে আরো নানান অভিযোগ রয়েছে।
রিয়াজুল হাসান ওরফে খোকন, তার ভাই মো. আরিফের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে দৃশ্যমান কোনো কাজ না করলেও খোকন নিজেকে কথিত সাংবাদিক দাবী করে দম্ভোক্তি করেন এবং তার ভাই আরিফ নিজেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দাবী করে জমি কেনাবেচায় মধ্যস্থতা কারী দাবী করেন এবং নিজেদের কয়েকটি সিএনজি আছে বলে দাবী করেন। আমাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ পূর্বশত্রুতার বহিঃ প্রকাশ বলে দাবী করেন তারা।
বেকার জীবনে নিজ গ্রামে দুটি বাড়ি নির্মাণ করার বিষয়ে তারা দাবী করেন, একটি বোন নির্মাণ করছে, আরেকটি ভাইয়েরা মিলে অল্প-স্বল্প পুঁজি জমিয়ে করতেছি। তাদের হিসাবমতে, সবমিলিয়ে এখন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তাদের। এসবের বিপরীতে আয়কর সনদসহ অন্য কোনো কাগজপত্র রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অসচেতনতার কারণে এসব করা হয়নি। এলাকার অনেকের এসব কাগজপত্র নেই। তাই আমিও এসব করার প্রয়োজন অনুভব করিনি।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আমরা পুরো টেকনাফের মাদক কারবারিদের নির্মূলে কাজ করছি। উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোর প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ ছাড় পাবে না, সেভাবেই নির্দেশ রয়েছে ওপর মহলের। পর্যায়ক্রমে সবাই ধরা পড়বে।
Developed By Muktodhara Technology Limited