image

বিআরটিএ'র অব্যাহত নজরদারি: আবারও ফিরিয়ে দেয়া হলো বাড়তি ভাড়া

image

রবিবার রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নগরীর অলংকার মোড়ের কাউন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম,মনজুরুল হক। এ অভিযানে যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়া ও যাত্রী হয়রানিরোধে পরিচালিত হচেছ নিয়মিত।

চলমান অভিযানে দেখা যায় নোয়াখালীর হাতিয়া-চেয়ারম্যানঘাটাগামী রেসালাহ ও বাঁধন পরিবহনে ২৫০ টাকার ভাড়া ৩৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কাউন্টারে প্রচুর যাত্রীর ভীড় ছিলো। এ দুটি কাউন্টারকে জরিমানা না করে তাৎক্ষণিক যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত ভাড়া তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কাউন্টার ম্যানেজারকে নির্দেশ দিলে ম্যানেজার উপস্থিত সকলের বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে বাধ্য হন। এরপর তিনি ফেনীগামী স্টারলাইন পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে দেখেন সেখানে প্রতি টিকিটে ২০ টাকা করে অতিরিক্ত রাখছে।তিনি কাউন্টার ম্যানেজারকে অতিরিক্ত এক টাকাও নেয়া যাবে না বলে সতর্ক করে দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক এর নিকট আগে থেকে নীলাচল পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে মর্মে অভিযোগ ছিলো। তিনি পাশের নীলাচল বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখতে পান কাউন্টারের লোকজন অভিযানের খবর পেয়ে ততক্ষণে কাউন্টার বন্ধ করে পালিয়ে গেছে এবং শাহী কাউন্টারেও কাউকে পাওয়া যায়নি। যার ফলে এ দুটি পরিবহনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য যে,ইতিপূর্বে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগে শাহী সার্ভিসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। পরে শোনা যায় অভিযানের খবর পেয়ে অলংকার ও একে খান এলাকার কাউন্টারগুলো সতর্ক হয়ে যায়।

আদালত -১২ এর বিজ্ঞ এ হাকিম জানান, ঈদ পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।কোনভাবেই ঘরমুখো মানুষের কষ্ট অর্জিত টাকা বাড়তি ভাড়া দিয়ে নষ্ট করা যাবেনা। এখানে সীমিত আয়ের মানুষ রয়েছেন। তাদের জন্য বাড়তি ভাড়াটা একটা অতিরিক্ত চাপ। আর এই ধরনের জনসেবামুলক কাজে জনসাধারণকে অধিকার সচেতন হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সবাই সচেতন হলে এ অন্যায় বন্ধ হতে বাধ্য।