image

দোহাজারী পৌরসভায় মহাসড়কের পাশে অপরিকল্পিত ড্রেন

image

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহরখ্যাত দোহাজারী পৌরসভায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের কারনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, পথচারীসহ ড্রেন সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের। নির্মাণের পর থেকে পরিষ্কার না করায় ড্রেনটি ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরী হলেও আউটলেট বা গন্তব্যস্থান না থাকায় সরকারপাড়া প্রবেশমূখ সংলগ্ন ছোট্ট পুকুরে পড়ছে ময়লা পানিগুলো। ব্যাংক এশিয়া থেকে সরকারপাড়ার প্রবেশমূখ পর্যন্ত বিস্তৃত ড্রেনেও ময়লা পানিগুলো জমে আছে। তাছাড়া ড্রেনের মধ্যে ময়লা জমে থাকায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে ড্রেনের পাশে পলিথিন সহ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ড্রেনের পঁচা পানির গন্ধে পথচারীসহ শিক্ষার্থীদের নাকে রুমাল দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। বিশেষ করে দোহাজারী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা সহ ড্রেন সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ড্রেনের পঁচা পানির দুর্গন্ধের কারনে। ড্রেনের কিছু অংশে ময়লার স্তরে এমন অবস্থা হয়েছে যে ড্রেন নাকি সমতল অংশ তা বোঝা কঠিন। বিগত কয়েকদিন আগে ড্রেনটিতে পরে আহত হয়েছেন দোহাজারী পৌরসভার সহায়ক সদস্য মোঃ শাহ্ আলম মেম্বার।

স্থানীয়রা বলছেন দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ ড্রেনটি তৈরী করলেও পানি কোথায় গিয়ে পড়বে সেটি নির্ধারণ না করায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনে জমে থাকা পঁচা পানিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবানুবাহী এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিংবা দোহাজারী পৌর কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি না থাকায় ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ড্রেন ভরাট করা হচ্ছে।

স্থানীয় মোটরসাইকেল মেকানিক মোঃ সেলিম বলেন, "পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরী করা হলেও পানি জমে আছে। এটি তৈরীর সময় চিন্তা করা উচিৎ ছিলো পানিগুলো কোথায় গিয়ে পড়বে। ড্রেনের পানি সরকারপাড়া প্রবেশমূখ সংলগ্ন ছোট্ট পুকুরে গিয়ে পড়লেও সেটির ধারণক্ষমতা কম থাকায় ড্রেনে পানি জমে থাকে। ড্রেনের পঁচা পানির দুর্গন্ধের কারনে দোকানে বসে কাজ করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তোফায়েল মিয়া বলেন, "ড্রেন পরিষ্কার করা আমাদের কাজ না, এটা পৌরসভার এখতিয়ার। তবুও আমরা একবার পরিষ্কার করে দিয়েছি। ময়লাতো বাজার থেকে উৎপন্ন হয়। ড্রেনে ময়লা আবর্জনা যাতে পরিমাণে কমে এবং রিডিউস হয় সেগুলোতো পৌরসভা দেখতে পারে। ড্রেন যদি আমরা না বানাইতাম তাহলে পানিগুলো সড়কের উপর জমে থাকতো। এখন হয়তোবা পানিগুলো ড্রেনে জমে আছে। ড্রেনের পুরো লেনটা আমরা করতে পারি নাই। আউটলেট কোন একটা যায়গায়তো শেষ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, আবার যদি কোন ড্রেন আমরা করতে পারি তবে সেটার সাথে এটিকে লিঙ্কআপ করে দেবো।"

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম বদরুদ্দোজা'র মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।