ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করতে আজও দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে নজরদারি চালিয়েছেন বিআরটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক।
তিনি নগরীর ফ্রি পোর্ট, বড়পুল, অলংকার ও স্টেশন রোডের কাউন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে দেখা যায় আজও বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছিলো। ইপিজেড মোড় এলাকার বাগদাদ সার্ভিস চাঁদপুরের ভাড়া নিচ্ছিলো ৮০০ টাকা করে যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৪০০ টাকা এর বেশি নয়। একই স্থানের রাঙামাটিগামী পাহাড়ীকা সার্ভিস ১৬০ টাকার ২৫০ টাকা করে নিচ্ছিলো। অন্যদিকে, এর আগের অভিযানে জোনাকী সার্ভিসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও বড়পুল কাউন্টারে আজও তাদেরকে বাড়তি ভাড়া নিতে দেখা যায় লক্ষ্মীপুরের ভাড়া নিচ্ছিলো ৫০০ টাকা করে যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৩০০ টাকা। এমতাবস্থায়, বাড়তি ভাড়া নেয়ার অপরাধে বাগদাদ সার্ভিসকে ১৫ হাজার টাকা, পাহাড়ীকা সার্ভিসকে ৫ হাজার টাকা ও জোনাকী সার্ভিসকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বড়পুলের শাহী সার্ভিস এর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পাওয়ায় শাহীর কাউন্টারে অভিযান চালালে খবর পেয়ে কাউন্টারের ম্যানেজার পালিয়ে যান। এরপর অলংকার মোড়ের বরিশালগামী শতাব্দী পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় পরিবহনটি ১৪০০ টাকা করে বরিশালের টিকিটের দাম রাখছে। বাড়তি ভাড়া নেয়ার দায়ে শতাব্দী পরিবহনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক স্টেশন রোডের বিআরটিসি কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায় নবীনগরগামী প্রান্তিক পরিবহন ৩০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা করে আদায় করছিলো। উপরন্তু বাসটির রুট পারমিটও ছিলো না। বাড়তি ভাড়া আদায় এবং রুট পারমিট না থাকার অপরাধে ম্যাজিস্ট্রেট প্রান্তিক পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। দুপুর ১২.০০ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫.৩০ টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযানে পাঁচটি পরিবহনকে মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি কাউন্টারের ম্যানজারকে বাড়তি ভাড়া না নিতে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়।
এদিকে ইফতারের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অপরাধের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দীর্ঘসময় তিনি সেখানে অবস্থান করে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন, তাদের অভিযোগসমূহ শ্রবণ করে বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করে দেন এবং চালক-হেলপারদের বাড়তি ভাড়া না নিতে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন। পরবর্তীতে তিনি মাইকিং এর মাধ্যমে ভাড়া সংক্রান্ত কারো অভিযোগ থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসে অভিযোগ দায়েরের আহবান জানান। অভিযান চলাকালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের বাসগুলো বাড়তি ভাড়া দাবি করা থেকে বিরত থাকে। আগামীকালও যাত্রীদের ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে বিআরটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited