image

রাঙ্গুনিয়ায় দোকানে আগুনের ঘটনায় অবশেষে মামলা: হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ দোকানী 

image

চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামে মুদি দোকান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন দোকানের মালিক মো. আবুল কাশেম।

শুক্রবার (৭ জুন) ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেম (৫৩) তাঁর বাড়ির পাশে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচাঘরে মুদি দোকান করে আসছিল। প্রতিবেশী অভিযুক্ত লিটন ভুইঞাসহ কতিপয় লোকজন দীর্ঘদিন ধরে  দোকানঘর ও জায়গা দখল করার অপচেষ্টা করে আসছিল। দখল করতে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে দোকান পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল। বুধবার (৫ জুন ) রাত ১১ টার দিকে দোকান মালিকৎপ্রতিদিনের মতো দোকানে ঘুমিয়ে পড়ে। দিনগত রাত দুইটার দিকে আবুল কাশেম গায়ে আগুনের তাপে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখেন তার দোকান আগুন জ্বলছে। দোকান থেকে বের হয়ে তিনি দেখতে পান প্রতিপক্ষরা দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তার শোর চিৎকারে
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যায়। এসময় মুখে আগুনের ধোঁয়া ঢুকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বেসরকারি হাসপাতাল রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়ে। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আগুনে ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা
দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষনে আগুনে দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। আগুনের ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক দাবি করেন। 

জানতে চাইলে, রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হসপিটালের মেডিক্যাল অফিসার কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “ আবুল কাশেমের মুখে ধোঁয়া ঢুকে পড়ে। তিনি ভয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নেবুলাইজার দেয়া হচ্ছে এবং হাসপাতালে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ”

ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া ষ্টেশনের কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, “ আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি। তবে কিভাবে আগুন লাগল আমরা তদন্ত করে দেখছি।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভুঞা বলেন, “ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।