image

নোয়াখালীতে ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

image

নোয়াখালীর আদালতে অন্য মামলার জামিন নিতে গিয়ে এমবিবিএস পরিচয় কাল হলো তার। তিনি ছিলেন সেনবাগ সরকারী হাসপাতালের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার। নাম তার মোহাম্মদ উল্যা, ডা:মামুন নামে পরিচিত। জনশ্রুতি  আছে সরকারী হাসপাতালে নিতেন ১০০ টাকা ভিজিট। জনগন জানতেন তিনি এমবিবিএস পাশ।গত বছর থেকে  অবশ্য তিনি অবসরে।কাঁধে চেপেছে ভূত।আদালতে অন্য মামলার জামিন নিতে গিয়ে নিজেকে পরিচয় দেন তিনি এমবিবিএস ডাক্তার। ব্যাস, আদালত চায় প্রমাণ। তিনি হন ব্যর্থ। জামিনতো বহুদুর, ঠিকানা তার শ্রীঘরে।কারাগারে পাঠালো আদালত। বাড়ি তার সেনবাগের ভুঁঞাদীঘি। পিতা মৃত নুরুল আমিন। 

বুধবার ১৯ জুন বিকালে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নং আমলী আদালতের বিচারক উজমা শোকরানা এ রায় প্রদান করেন। 

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনীজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বকশী ও খালেদ সাইফুদ্দিন কামরুল জানান সেনবাগের ছায়েদুল হক বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং জি আর -৯৫/১৯। উক্ত মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মোহাম্মদ উল্যা মামুন। তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। এরই মধ্যে উক্ত আসামি সেনবাগে নিজ গ্রামে ভূয়া চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক রোগীর ক্ষতি করেন। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪নং আমলী আদালতের বিচারক উজমা শোকরানা মোহাম্মদ উল্যা মামুনকে দুপুর ১২টা থেকে বিকেলে ৩টা পর্যন্ত তাকে এমবিবিএস ডাক্তার এর পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদী দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তুু তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রমাণাদী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।