image

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে (জেএসএস) কর্মীকে গুলি করে হত্যা

image

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তি রোয়াংছড়ি উপজেলার থোয়াইঙ্গা পাড়ার মং প্রæ থুই মারমার ছেলে অং সিংচিং মারমা(৩৮)।

সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক রাত দুইটার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার থোয়াইঙ্গা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাড়ায় হানা দিয়ে অং সিংচিং মারমাকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করার পর ভোরে অং সিং মারমার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পেয়ে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে নিহত ব্যাক্তির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

এ ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি টিম টহলে রয়েছেন।

পাড়া প্রধান(কারবারী) ক্যোয়াইডংমং মারমা ও মৃত ব্যক্তির বড় বোন পুওয়াংনুচিং মারমা জানিয়েছেন, গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী আমার ভাইরকে ধরে নিয়ে গেছে। ডেকে নেওয়ার প্রায় আঁধা ঘন্টা মধ্যে গুলি শব্দ আওয়াজ শুনতে পেয়েছি আমারা। ওই গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে অংসিংচিং মারমার স্ত্রীর ঘটনাটি পাড়াবাসিদেরকে জানান।

খবর পেয়ে সকালে গ্রামবাসীরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খোঁজি করলে পাড়া অদূরে বিলের মধ্যে অংসিংচিং মারমার লাশটি মাটিতে পড়ে থাকতে  দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি রোয়াংছড়ি থানাকে জানান।

এদিকে, এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতির (এসএসএস) এর নেতারা ধারণা করছেন পাহাড়ে গঠিত মগ লিবারেশন পার্টিই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার গভীর রাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাড়ায় হানা দিয়ে অং সিং মারমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

প্রসঙ্গত, গত তিন মাস যাবত বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও মগ লিবারেশন পার্টির মধ্যে দ্বন্দের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ মোট ৫ জন খুন ও একজন অপহরণ হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর ১১ জন নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন।

রোয়াংছড়িতে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর কর্মী অং সিংচিং মারমা (৩৮) এর লাশ।