image

মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠাবে না: মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার 

image

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী-কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি নেতৃত্ব দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

রোববার সকালে উখিয়ার বালুখালী ১৮ নং ক্যাম্পে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। বিকেলে কুতুপালং ডি- ৫ ব্লকে ইউএনএইচসিআরের কার্যালয়ে ২ ঘন্টা ব্যাপী রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে কথা বলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা ৮ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলার সাথে মিয়ানমারের নির্যাতন নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষনের কথা শুনেন।

মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তাফা বলেন, এখন যে সকল রোহিঙ্গা মিয়ানমারে অবস্থান করছেন তারা কোন ক্রমেই বাহিরে অবাধ চলাফেরা করতে পারছে না এমনকি অসুস্থ নারী পুরুষ কোথাও চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারছে না। পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চান কিভাবে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে ?

প্রতি উত্তরে রোহিঙ্গারা বলে আমরা মিয়ানমারে অনেক বছর যাবৎ বসবাস করে আসছি, তাহলে  আমাদের উপর এত অত্যাচার, নির্যাতন কেন? মিয়ানমারে ১৩৫ জনগোষ্ঠী বসবাস করে সবাই মিয়ানমারের নাগরিক, আমাদের রোহিঙ্গাদের কেন নাগরিকত্ব স্বীকৃত দিবে না। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ২ শতাধিক রোহিঙ্গা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সামনে নানা রকম ব্যানার, পেস্টুন প্রদর্শন করেন। উক্ত ব্যানারে গনতান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের প্রতি একান্ত দাবি যাতে তারা ১৯৯২'র তালিকাভুক্ত শরণার্থীদের জন্য সংশোধনী আইন ১৯৬৯, ১৯৬৭, ১৯৫৪, ১৯৫১, ১৯৮৪ এবং ১৯৬১ ধারা অনুসারে গৃহীত আইন বাস্তবায়নে করা হোক।

প্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গা আরো বলেন, বাংলাদেশে আমরা মোটামুটি ভাল আছি। কিন্তু আমরা যদি এখানে বসবাস করি তাহলে শিক্ষা, চিকিৎসা,সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হব। এজন্য রোহিঙ্গা দ্রুত মিয়ানমারে পাঠানোর জন্য আমেরিকা সকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা নেতা রশিদ উল­াহ, মোহাম্মদ নুর, আবু তাহের, হামিদা বেগম প্রমূখ। মার্কিন রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসন করা হবে। মিয়ানমারে কখনো ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হবে না। মার্কিন রাষ্ট্রদূত উখিয়ার মধুর ছড়া ক্যাম্পের ইউএনএইচসিআরের বায়োমেট্টিক কার্যক্রম, কাস্টি ইয়ার্ডের কার্যক্রম সহ একাধিক এনজিও সংস্থার প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধি দলটি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প ত্যাগ করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে গমন করেন।