image

নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বস ও বন্যার আশংকা : প্রশাসনের মাইকিং, ২৫ আশ্রয় কেন্দ্র

image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ী জনবসতিতে অতি বৃষ্টিতে ধ্বস ও বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজার ঘর-বাড়ী ধ্বসের ঝুকিতে রয়েছে। বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন তৎপরতা শুরু করেছেন রবিবার থেকে।

উপজেলার পাহাড়ী এলাকা সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সমাজসেবক এ্যানিং মার্মা জানান, কয়েকদিনের টানা বর্ষনে নাইক্ষ্যংছড়ি-সোনাইছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দু’পাশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের মাটি এসে পড়েছে রাস্তার উপর। 

বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন- লাগাতার বৃষ্টির ফলে পাহাড়ী ঢলে রামু উপজেলার গর্জনীয়ার থিমছড়ি এলাকায় কালভার্ট ব্রীজ সহ সড়ক ভেঙ্গে ইতিমধ্যে বাইশারী থেকে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কটির গজালিয়া এলাকাও ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের পথে। এক কথায় এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে উপজেলার রাবার শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত বাইশারী অন্যান্য এলাকা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।  

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, অতিবৃষ্টিতে নাইক্ষ্যংছড়ির সব পাহাড়ই কিন্তু ধ্বসের ঝুকিতে থাকে। এ জন্য বসতিপূর্ণ এলাকা গুলোতে সরজমিনে গিয়ে যাচাই-বাচাই করে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৩’শ অতিঝুকিপূর্ণ বাড়ীর তালিকা করা হয়েছে। যাদেরকে সরে আসার জন্য বলা হচ্ছে নানাভাবে। বিশেষ করে রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে মাইকিং করে অতি ঝুকিতে বসবাসরত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসতে বলা হচ্ছে। আর এসব লোকজনকে নিরাপদে থাকার থাকার জন্য ২৫টি স্কুলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। 

তিনি আরো জানান, সদর ইউনিয়ন, ঘুমধুম, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি ও বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যানদের এ সব কেন্দ্রে আশ্রিত লোকজনকে নিয়ে এনে সব ধরনের সহায়তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। আর উপজেলার পিআইওকেও এদের সহায়তা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত রবিবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্বত্র মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। লোকজন বলছে, এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে একদিকে পাহাড় ধ্বস অপর দিকে রয়েছে বন্যার সম্ভাবনাও।