image

দোহাজারীতে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণ বিতরণ  

image

টানা সাত দিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে শঙ্খনদীর জোয়ারের পানি যোগ হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় শঙ্খনদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।

তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের ক্ষেত, ভেসে গেছে মৎস প্রকল্পের লাখ লাখ টাকার মাছ।

রায়জোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে গৃহপালিত গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দী প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার।

পানিবন্দী হয়ে পড়া লোকজনের মাঝে দোহাজারী পৌরসভায়  শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও  দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক আ.ন.ম বদরুদ্দোজা।

এসময় দোহাজারী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে পাঁচ'শ কেজি, ১ নং  ওয়ার্ডে পাঁচ'শ কেজি, ৭ নং ওয়ার্ডে পাঁচ'শ কেজি,  ৮ নং ওয়ার্ডের জন্য তিন'শ কেজি চাল প্রদান করা হয়।

পৌরসভা কার্যালয়ে ত্রাণ বিতরণকালে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণ পেয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিগণকে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

৭নং ওয়ার্ডের সহায়ক সদস্য এস.এম জামাল উদ্দীন বলেন, "শঙ্খনদী তীরবর্তী হওয়ায় আমার ওয়ার্ডের লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নিন্মবিত্ত পরিবারগুলো পানিবন্ধী হয়ে মানবেতর জীবন যাপণ করছে। মাত্র পাঁচ'শ কেজি চাল আমি কতজনকে দেবো?"

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক আ.ন.ম বদরুদ্দোজা বলেন, "পুরো চন্দনাইশ উপজেলার জন্য দশ টন চাল পেয়েছি। দুটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের পানিবন্দী মানুষের মাঝে তা সমন্বয় করে বিতরণ করতে হচ্ছে।"

শঙ্খনদী তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় দোহাজারী পৌরসভার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, "উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করছি। আগামীকাল অথবা পরশুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।"

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক বিধান বড়ুয়া, সাবেক ইউ.পি সদস্য এস.এম জামাল উদ্দীন, মোঃ শাহ্ আলম, মহিউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সদস্য এইচ.এম শহীদ আলী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চন্দনাইশ শাখা সভাপতি আমজাদ চৌধুরী, হাশিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক কাজী শিমুল আহমেদ, যুবলীগ নেতা মোরশেদ বিন চৌধুরী, সায়েম চৌধুরী, হকার্স লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।