image

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারগুলোতে বার্মিজ পণ্যের সমাহার

image

উখিয়া রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন বনভূমিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামে হাটবাজার।যেমন বলিবাজার, ফকিরা বাজার, সাহাব বাজারসহ রাখাইনের প্রচলিত নামীয় বিভিন্ন হাট-বাজারের নাম। এসব হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ব্রান্ডের মাদকসহ বার্মিজ পণ্য সামগ্রী। ক্যাম্পের ভিতরে রোহিঙ্গারা ইচ্ছামত বাজার গড়ে তোলায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে টানাপোড়নের মাঝে রাখাইনের তৈরি ইয়াবাসহ এসব পণ্য সামগ্রী কিভাবে আসছে তা নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

বালুখালী বলি বাজার, মধুরছড়া সাহাব বাজার ও ময়নার ঘোনা ফকিরা বাজার ঘুরে দেখা যায় স্বর্ণের দোকান থেকে শুরু করে নামী দামি মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিক্স পার্সের দোকান দিয়ে বসে আছে রোহিঙ্গারা। এসব দোকানের আড়ালে রমরমা মাদক বানিজ্য চলছে বলে স্থাণীয়দের অভিযোগ। সাম্প্রতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মধুর ছড়া সাহাব বাজার দোকান সংলগ্ন একটি রোহিঙ্গার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ৩ কেজি স্বর্ণালংকারসহ ২জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের জানান, রোহিঙ্গাদের স্বণালংকার বিক্রির অনুমতি না থাকার কারনে কর ফাকিঁর অভিযোগে সম্পতি তাদের আটক করা হয়েছিল।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম,গফুর উদ্দিন চৌধরী,জানান, বালুখালী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য অতি কাছাকাছি হওয়ার সুবাধে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তায় বসবাসকারী এক শ্রেণি রোহিঙ্গা নাগরিক রাতারাতি নাফ নদী পার হয়ে মাদকসহ মিয়ানমারের তৈরি পণ্য সামগ্রী এপারে নিয়ে আসছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতি বালুখালী ক্যাম্পের কিছু সংখ্যক ইয়াবা কারবারি গভীর রাতে বালুখালী কাটাঁপাহার এলাকা দিয়ে নাফ নদী পার হওয়ার সময় টর্চের আলো ফেললে রোহিঙ্গারা গুলি বর্ষন করে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় চিংড়ি ঘের মালিক মো: সিদ্দিকের ছেলে নাজমুল (১৫) পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।

উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্বনয় সভায় পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার মোজাফ্ফ আহম্মেদ সওদাগর বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনে প্রচলিত নিয়মে ক্যাম্পে হাট-বাজার গড়ে তোলে কোটি কোটি টাকার বার্মিজ পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে। এসব ব্যবসার আড়ালে কিছু কিছু রোহিঙ্গা নাগরিক মাদক বেচা-কেনা করার কারনে স্থাণীয় যুব সমাজ সন্ধ্যা হলে ক্যাম্পে আড্ডা দিতে দেখা যায়। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে অনৈতিকভাবে বাজার বসিয়ে মিয়ানমারের তৈরি পণ্য সামগ্রীসহ গোপনে স্বর্ণালংকার বিক্রি করছে। তাদের এ সমস্ত অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। যে কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে স্থানীয়রা। উপজেলা চেয়াম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা এখানে যা মন চায় তাই করছে। তারা এখানে ইচ্ছামত চলাফেরা করার সুযোগ পাওয়ার কারনে অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে স্থানীয় সামাজিক পরিবেশকে ধ্বংস করছে। এদের কঠোর নিয়ন্ত্রনের আওতায় না আনা হলে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দিনে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হবে।