image

বেগম জিয়ার মুক্তিতেই গণতন্ত্র ফিরবে : চট্টগ্রামের মহাসমাবেশে মির্জা ফখরুল

image

বেগম জিয়ার মুক্তিতেই ফিরবে গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার, যার জন্য এদেশের শান্তি প্রিয় আপামর জনসাধারণ অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছেন। দেশের জনগন বিশ্বাস করে বেগম জিয়ার মতো সাহসী, সৎ ও আপোষহীন নেত্রীকে কারাগারে বন্দি রেখে কখনো এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। 

দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বেগম জিয়ার দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব আর স্বদেশ প্রেম বার বার এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির চেয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ও ভাল চাইতে গিয়ে তিনি বিসর্জন দিয়েছেন নিজের পরিবার, সন্তান তথা লোভ-লালসাকে।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন, স্বদেশ প্রেমে তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না, আর দেন না বলেই সুযোগ সন্ধানীরা, ক্ষমতালোভীরা সবসময় তার কাছে আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়েছে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবী জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামীলীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নির্বাচন জনগনের আস্থা নেই। তাই জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবী করেছেন।

শনিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িস্থ নূর আহমদ সড়কে বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপরোক্ত দাবী করেন।

কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন খালেদা জিয়া আওয়ামীলীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরাচারিভাবে দেশ চালাচ্ছে তাই তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি দাবী করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে বেগম জিয়াকে বিনা দোষে কারাগারে আটকে রেখেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন, গয়স্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজান,মীর মোঃ নাছির উদ্দীন আবদুল আওয়াল মিন্টু, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস কেন্দ্রিয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শফিউল বারী বাবু, আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, চাচিং ফ্লু জেরী,

সমাবেশে বিশেয় অতিথির বক্তব্যে ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যে দুই কোটি টাকার ভুয়া মামলায় বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেই দুই কোটি টাকা সুদে আসলে এখন ৬ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। কোন দূর্নীতি করেনি বেগম জিযা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন বলেই তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

এদিকে সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার পেস্টুনসহকারে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। নগরী ছাড়াও জেলার ১৪ থানা এবং ফেনী কক্সবাজার রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ বিভাগের অন্যন্য জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে বিএরপির নেতারা জানান।

সমাবেশকে ঘিরে নগরীর কাজীর দেউড়ি থেকে লাভলেইন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। সিএমপির এসি ওসিদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

সমাবেশস্থলে থাকা কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, সমাবেশ শুরু হয়েছে একঘন্টা আগে। কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। পুলিশ কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

বিশাল এ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, জয়নাল আবেদীন ভিপি, ডঃ সুকোমল বডুয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হকল ফজু, বেগম রোজী কবির, যুগ্ম মহা সচিব ব্যারিঃ মাহবুব উদ্দীন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেসের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম ,দক্ষিন জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মৎস সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহিলা সম্পাদক নুরী আরা সাফা,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার,হারুনুর রশীদ ভিপি,সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ ধর্ম সম্পাদক এড, দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান,কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মশিয়ুর রহমান বিপ্লব, মজিবুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সিঃ সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, কক্সবাজার জেলার সভাপতি শাহজান চৌধুরী, রাঙ্গামাটির সভাপতি শাহ আলম, বান্দরবানের সভাপতি সাচিং প্রু জেরী, কেন্দ্রীয় তাতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইয়াসিন আলী, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, এড,আবদুস চাত্তার, দীপন তালুকদার দিপু, এস কে খোদা তোতন, শেখ মহিউদ্দীন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দীন, নাজিমুর রহমান, রফিকুল আলম মজনু, শহিদুল ইসলাম ফরহাদ, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, মোঃ জাবেদ রেজা, আলী আব্বাস, নুরুল আমিন, ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, জসিম উদ্দীন সিকদার, কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, এড, আবু তাহের, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি কাউন্সিলার মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, দক্ষিন জেলা যুবদল সভাপতি মোঃ শাহজান, উত্তর জেলা যুবদল সভাপতি হাসান জসিম, মহানগর স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমূখ ।