image

দোহাজারী হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

image

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। 

হাসপাতালটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকছে ৫০ জন। কোন কোন সময় এ সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিয়ে তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের।

দোহাজারী পৌরসভার ১১টি ওয়ার্ডের লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সাতবাড়িয়া, ধোপাছড়ি, হাশিমপুর ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ, খাগরিয়া, পুরানগড়, নলুয়া, ধর্মপুর, আমিলাইশ ইউনিয়নের লোকজন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। বহিঃ বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন'শ থেকে চার'শ রোগী চিকিৎসা নেন। তাছাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন হাসপাতাল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দূর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। 

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়,  হাসপাতালের দোতলায় পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ৩১ টি। অথচ (সোমবার) পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিলেন ৫৬ জন। পুরুষ ওয়ার্ডের প্রতিটি শয্যার পাশে খালি যায়গার চাদর বিছিয়ে থাকতে গেছে রোগীদের। মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীও ছিলো। এব্যাপারে কর্তব্যরত নার্সকে প্রশ্ন করা হলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, "বেড খালি না থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে রাখা হয়েছে শিশুটিকে।"

দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু তৈয়্যব বলেন, "শয্যা সংখ্যার বিপরীতে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকায় রোগীদের চাপ সামাল দিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় সহ জনবল স্বল্পতায় কাঙ্খিত সেবা দিতে অসুবিধা হয়। তাছাড়া মেঝেতে রোগী ভর্তি থাকায় হাসপাতালের পরিবেশ ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বহিঃ বিভাগে প্রতিদিন তিন'শ থেকে চার'শ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর ভর্তি থাকা রোগীদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।"

দোহাজারী হাসপাতাল ৩১ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।