image

আনোয়ারা উপকূলে ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ

image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের গ্রামীণ জনপথগুলো অচল হয়ে পড়ছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ার ভাটার কারণে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর গহিরা, দক্ষিণ গহিরা ও পূর্ব গহিরার তিন গ্রামের বেশিরভাগ রাস্তা বিলীন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে উপকূলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

জানা যায়, প্রতি বছর স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে গ্রামীণ সড়কগুলো (কাঁচা-পাকা) নির্মাণ ও সংস্কারে বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকা, জোয়ার ভাটার পানি ওঠা-নামা করা ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অধিকাংশ সড়ক বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

পূর্ব গহিরা, দক্ষিণ গহিরা ও মধ্যম গহিরার সাথে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব এলাকার সংযোগ সড়কগুলো কয়েক দফা মেরামত করলেও জোয়ার-ভাটার কারণে ভেঙে যাচ্ছে। এসব এলাকার রোগীদের নিয়েও বেকায়দায় পড়ছেন স্থানীয় মানুষ। বিশেষ করে বার আউলিয়া-ধলঘাট সড়ক, জলিল মাস্টার সড়ক, বহদ্দার বাড়ি সড়ক, গহিরা মুহাম্মদিয়া মাদ্রাসা সড়ক ও ফকির হাট-মধ্যম গহিরা সড়কের দুর্ভোগ চরমে। এছাড়া উপকূলের প্রতিটি রাস্তা এখন অচল হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান জানে আলম জানায়, উপকূলের মূল সমস্যা বেড়িবাঁধ। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মিত হলে প্রতি বছর গ্রামীণ সড়ক সংস্কার খাতে অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য জরুরি বরাদ্দের টাকাগুলো ঠিকমতো কাজ করলে অনেক সড়ক রক্ষা পেত। গত বছর যে সড়কগুলো নির্মাণ করা হয়েছে এখন এগুলোর কোনো চিহ্ন নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা ও উপকূলীয় এলাকা জোয়ার ভাটার কারণে সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আমাদের সাধ্যমতো তা সংস্কার করা হচ্ছে।