image

বাঁশখালী ছনুয়া-শেখেরখীল স্টীল ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদ

image

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ স্টীল ব্রীজটি ব্যস্ততম একটি ব্রীজ। বাঁশখালীর পশ্চিম উপকূলীয় জলকদর খালের উপর নির্মিত ছনুয়া-শেখেরখীলের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল সহ মালবাহী নানা যানবাহন যাতায়ত করে। উপকূলীয় এলাকার ছনুয়া ও শেখেরখীল ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত থাকে। বঙ্গোপসাগর থেকে বড় বড় ট্রলারে মাছ ধরে নিয়ে আসে জলকদরের তীরে। আর সকাল-সন্ধ্যায় পরিবহনে ব্যবহৃত হয় গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি। এ ব্রীজটি বেশ অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।

তাছাড়া ছনুয়া ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম পুইছড়ি-মৌলভী বাজার সড়কের সংস্কার কাজ চলার কারনে ওই ইউনিয়নের সামগ্রীক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন এই ব্রীজে। উভয় ইউনিয়নের লোকজনের একমাত্র সংযোগ ব্রীজটির পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। সাধারণ পথচারীসহ স্কুল-কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ব্রীজ দিয়ে। বিভিন্ন সময় অটোরিকশা, সিএনজি, মিনিট্রাকের চাকা ভাঙ্গা পাটাতনে আটকে গিয়ে নানা দূর্ঘটনার কবলে পতিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। ব্রীজের পাটাতন ভেঙ্গে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে এতে বড়ধরণের দূর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেশী।

গত বুধবার (২১ আগস্ট) সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিগত বছর খানেক আগে ব্রীজের উভয় পাশে সাগরের জাল শুকানোর কারণে লবণাক্ত পানি জমে ব্রীজের পাটাটনে মরিচা ধরলে এক পর্যায়ে ব্রীজটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ ব্রীজের অধিকাংশ পাটাটন মরিচা ধরে খসে পড়ছে। কোথাও কোথাও বড় বড় ফুটো হয়ে সাধারণের চলাচলসহ যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অতীব জরুরী কাজে ব্যবহৃত দু-একটি সিএনজি-অটোরিক্সা ভেঙ্গে যাওয়া পাটাটনে আটকা পড়ে নানা দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে অভ্যন্তরিন সড়কের ৫ কিলোমিটারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্রীজের কারণে হুমকী হয়ে পড়েছে।

শেখেরখীল ইউপির সদস্য মোঃ শাকের উল্ল্যাহ জানান, ব্রীজ দিয়ে দৈনিক পাঁচ হাজারের অধিক মানুষের চলাচল হয়। পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নিত্য দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ যানবাহন গুলো।ডেলিভারী রোগী পারাপার সহ সাধারণ যে কোন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ। শিগ্রিই ব্রীজটি সংস্কার করা না হলে বন্ধ হয়ে যাবে দু'ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

উপজেলা প্রশাসন ও সওজ কর্তৃপক্ষ কোন খোঁজ-খবর নিচ্ছে না বলে দাবী এলাকাবাসীর। ছনুয়া-শেখেরখীলের যোগাযোগের একমাত্র সেতুবন্ধনকারী ব্রীজটির পাটাতন ভেঙ্গে পড়া সত্তে¡ও অটোভ্যান, ভটভটি ও রিক্সায় করে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে কোন রকম। এলাকাবাসী কতৃপক্ষের নিকট ব্রীজ সংস্কারের দাবী জানিয়ে আসলেও আজবধি টনক নড়েনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক অধিকার কে জানান, ইতোমধ্যে ব্রীজটি সংস্কারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের হিসেব দেখিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টেন্ডার হবে এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে কাজ সম্পন্ন করা হবে।