image

বোয়ালখালীর পৌরসভার প্রধান সমস্যা ড্রেনেজ, সড়ক সংস্কার, জলাবদ্ধতা ও পয়নিষ্কাশন 

image

নামমাত্র পৌরসভা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী। যাত্রা শুরুর কয়েকবছর বছর পেরোলেও এখানো পৌরসভার সুফল থেকে বঞ্চিত নাগরিকরা। বড় সমস্যা ড্রেনেজ, সড়ক সংস্কার, জলাবদ্ধতা ও পয়নিষ্কাশন।

পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালী পৌরসভা আয়তন প্রায় ১৫.৩৮ বর্গ কিলোমিটার। ২০১২ সালে পূর্ব গোমদণ্ডী ইউনিয়ন, পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের ১নং হতে ৬ নং ওয়ার্ড এবং কধুরখীল ইউনিয়নের ১নং হতে ৩নং ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হলেও ২০১৪ সালের ২১ মে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত হাজী আবুল কালাম আবু মেয়র নির্বাচিত হয়।

`গ’ শ্রেণির এ পৌরসভার ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। `গ’ শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকরা ১২ ধরনের সেবা পাওয়ার কথা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেবাসমূহ হলো, আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ পয়নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যাত্রী ছাউনি, সড়ক বাতি, যানবাহনের পার্কিং স্থান ও বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ, শিক্ষা,খেলাধুলা, চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ।

কিন্তু পৌরবাসীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের দিতে হচ্ছে নিয়মিত পৌর কর। তবে বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতায় । নেই পয়নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নেই কোন সড়ক বাতি , সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নয় চোখে পড়ার মত । একটু বৃষ্টিতেই বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকে পানি। জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন, নাগরিক সনদপত্র, ব্যবসার ছাড়পত্র এ ধরনের সেবা ছাড়া তারা নির্ধারিত অনেক সেবাই পান না নাগরিকরা।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, পৌর সুবিধা যেমন তেমন, পৌরকর ঠিকমতো দিতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সংযোগ সড়কটি কাঁচা। শুধু নামে বাস করি পৌরসভায়।

স্থানীয় একজন সরকারদলীয় রাজনীতিবিদ নাম প্রকাশ না করে বলেন, মেয়র সরকারদলীয় না হওয়ায় পৌরসভার কাঙ্কিত উন্নয়ন হয়নি। এছাড়া বিজিএফের চাল বিতরণসহ নানা বিষয়ে দলীয়প্রীতি লক্ষ্নীয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান পৌর মেয়র আবু জানান, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি পৌরসভার নানাবিদ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের। স্বল্প সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর আছে পৌরসভায় যাদের দিয়ে পৌরসভার একেকদিন একেক এলাকা পরিচ্ছন্ন করা হয়। সড়কবাতি পৌরসভার যেসব এলাকায় দেয়া হয়েছে তাতে বিদ্যুৎবিল আসে ১ লাখ টাকা। ছোট পৌরসভা আয় কম ।

জলাবদ্ধতা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে কিছু কিছু এলাকায় পানি জমবে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।