image

সীতাকুন্ডে রাজা আম্বিয়া ঢালা সড়ক খুলে দেওয়ার দাবীতে এলাকাবাসীর অবস্থান

image

সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড পাহাড়ে চাষ করে খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র যাতায়াতের পথ রাজা আম্বিয়ার ঢালা সড়কটি খুলে দেওয়ার দাবীতে অবস্থান করেছে স্থানীয় কৃষক জনতা। 

সোমবার সকাল ১১টায় এলাকাবাসী সাবেক আনোয়ারা জুট মিলস এলাকা দিয়ে পাহাড়ে যাওয়ার পথ খুলে দেওয়ার দাবীতে অবস্থান নিলে কেএসআরএম স্ক্র্যাপ ডিপোর কর্মচারীরা স্থানীয় কৃষকদের বাধা সৃষ্টি করেন। 

এসময় কেএসআরএম এর লোকজন কৃষকদের উপরে চড়াও হয় এবং মারধর শুরু করে। 

শ্রমিক কর্তৃক কৃষকদের মারধর করেছে, এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোকজন কেএসআরএম এর গেইটে গিয়ে অবস্থান নেয়। 

এদিকে জঙ্গল কাটগড় রাজা আম্বিয়ার ঢালা পাহাড়ী বাগান ও কৃষি উৎপাদনকারী ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি মো. জয়নাল আবদীন ভ‚ঁইয়া বলেন, টাকার জোরে অন্যায়ভাবে জনগণের চলাচলের পথ দখল করে নিয়েছে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। ৩০ হাজার মানুষের জীবন-জীবীকার একমাত্র অবলম্বন রাজা আম্বিয়ার ঢালা সড়ক দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান তিনি। 

তিনি আরো জানান, রাস্তাটি নিয়ে কেএসআরএম এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আদালত অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেএসআরএম। 

পাহাড়ে চাষ করা ক্ষেত থেকে সবজি আনতে না পারায় ক্ষুব্ধ নেজাম উদ্দিন বলেন, বাগানে পেয়ারা পঁচে যাচ্ছে। কিন্তু যেতে পারছি না। আমরা কিভাবে বেঁচে থাকবো। আসলে গরীবের কেউ নেই- বলেই দু’ চোখ বেয়ে অশ্রু নামে তার। 

সফর আলম নামে এক কৃষক বলেন,‘সবজি করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখন বাজারে বিক্রি করতে না পারলে আমাদের অনেক লোকসান হয়ে যাবে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় পাহাড়ে যেতে পারছি না।’ 

৭৩ বছরের বৃদ্ধ সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুর রহমানের অভিযোগ কেএসআরএম’র সরকারি জায়গা দখল এটাই প্রথম নয়। সীতাকুন্ডে তাদের যেসব কারখানা রয়েছে প্রত্যেকটির সামনে সরকারি সড়ক দখল করেছে। পেছনে সীতাকুন্ডের বাসিন্দাদের জায়গা দখল করে দেয়াল দিয়েছে। এলাকাবাসীর একটি পুরনো কবরস্থানও দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।