ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল মাষ্টারপাড়া এলাকার সুধাংশু মাষ্টার বাড়ীর সন্তোষ দাশের ছেলে বিপ্লব দাশ (২৫)।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিপ্লব দাশকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিপ্লবদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম চলছে। বিপ্লবের মৃত্যুতে তার একমাত্র পুত্র নয়মাস বয়সী শিশু আদি দাশের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে বলে জানান স্বজনেরা।
বিপ্লব দাশের পিতা সন্তোষ দাশ জানান, দোহাজারী পৌরসভা সদরে একটি পোল্ট্রি খাবার বিক্রির দোকানে চাকরি করতো বিপ্লব।
দেড় বছর আগে জামিজুরী গ্রামের ভূপাল দাশের কন্যা শান্তা দাশকে পুত্রবধু করে ঘরে আনার পর সুখেই কাটছিলো তাদের সংসার। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিপ্লব মারা যাওয়ায় তার নয় মাস বয়সী শিশু আদি দাশের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে গেলো।"
বিপ্লবের মৃত্যুর ব্যাপারে তিনি জানান, "বিগত শুক্রবার থেকে খাবারে অরুচি থাকায় সোমবার সকালে দোহাজারী গ্রীণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে রক্ত পরীক্ষায় বিপ্লবের ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শে সোমবার রাতে তাকে চমেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) তে ভর্তি করতে বলেন। চমেকে সিট খালি না থাকায় প্রথমে সিএসসিআরে পরে মেডিকেল সেন্টার নাম বেসরকারি হাসপাতালে যাই। সেখানে এইচডিইউ খালি না থাকায় ভোর রাতে ট্রিটমেন্ট হসপিটালে যাই। হাসপাতালে প্রবেশের আগেই ওই হাসপাতালের গেইটে বিপ্লবের মৃত্যু হয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকেরা চমেকে নিতে বললে সেখানে নিয়ে যাই। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ছয়টার সময় চমেকের চিকিৎসকেরা বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন।"
চমেকে এইচডিইউতে চিকিৎসা নিতে পারলে আমার ছেলে সুস্থ্য হতো এবং বেঁচে যেত।"
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দীন আহম্মদ বলেন, ''এইচডিইউতে সিট খালি না থাকলেতো নতুন রোগী সেখানে ভর্তি সম্ভব নয়। বিপ্লব দাশকে ডিসচার্জ করা হয়নি। রোগীর স্বজনেরা নিজেরাই রোগীকে বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে এইচডিইউ খালি আছে কিনা, সেটা জেনে এবং সিট কনফার্ম করে রোগীকে চমেক থেকে বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া উচিৎ ছিলো। তা না করে রোগীকে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করেছেন রোগীর স্বজনেরা।"
Developed By Muktodhara Technology Limited