নাগরিকত্ব, কেড়ে নেওয়া জমিজমা ফেরতের নিশ্চয়তা না পেলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন না বলে চীনের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন টেকনাফ শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফের ২৬ নম্বার শিবিরের সিআইসি কার্যালয়ে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে এসব দাবি জানান তারা।
মিয়ানমারে ফিরে যেতে কি সমস্যা লি জিমিং-এর এমন প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারে এখনো রোহিঙ্গাদের জন্য শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি জানিয়ে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা বলেন, ' সেদেশে বিবাদমান গ্রুপের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এখনো যে সব রোহিঙ্গা সেদেশে রয়েছে তাদের উপর নির্যাতন চলছে। তাছাড়া গত ২০১২ সালে আকিয়াবে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে কয়েক মাসের জন্য একটি জায়গায় জড়ো করে রাখলেও এখনো পর্যন্ত একই অবস্থায় রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে মিয়ানমার যাব।' কি ব্যবস্থা গ্রহন করলে মিয়ানমারে যাবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে রোহিঙ্গা নেতা মোঃ জাকারিয়া, হোছাইন আহমদ ও মো: জসীম বলেন, আমাদের দাবী মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও কেড়ে নেওয়া জমিজমা ফেরত দিলেই আমরা নিজ উদ্যোগে ফিরে যাবো।
এদিকে মতামত শেষে শালবন শিবিরের অশ্রিত রোহিঙ্গাদের তিনটি বাসায় যান। তাদের বাসা দেখেন, পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং কিছু স্কুল ব্যাগ ও ফুটবল তুলে দেন। এর আগে সকাল ১০ টার দিকে চীনের রাষ্ট্রদূত টেকনাফের কেরুনতলী ট্রানজিট ঘাট পরির্দশন করেন। পরিদশর্ন কালে প্রত্যাবাসন বিষয়ে লি জিমিং জানতে চাইলে জবাবে অতিরিক্ত ত্রান ও শরনার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, প্রত্যাসনের জন্য বাংলাদেশে সব কিছু প্রস্তুত রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে প্রত্যাবাসন করা যাবে।
এ সময় তার সঙ্গে আরো ছিলেন, নয়াপাড়া শরনাথী রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ (সিআইসি) আব্দুল হান্নান, জাদিমুরা ও শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জাদিমুরা ও শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফের কেরুনতলী ট্রানজিট ঘাট ও শালবাগান শিবিরের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন পাশাপাশি ওই শিবির পরিদর্শন করেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited