image

ভূয়া ভূয়া শ্লোগানে উত্তাল চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়াম এলাকা

image

চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। ফাইনাল খেলায় স্বাগতিক তথা আয়োজক আবাহনী ও মালয়েশিয়ার তেরাঙ্গুন স্পোর্টস ক্লাব প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। টিকেট কেটেও খেলা দেখতে প্রবেশ করতে না পারায় হাজার হাজার দর্শক স্টেডিয়ামের বাইরে ভূয়া ভূয়া শ্লোগান দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শক আসা শুরু করে স্টেডিয়ামে। এক পর্যায়ে টিকেটের সংকট দেখা দিলে কালোবাজারে ২০টাকার টিকেট ১শ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু এত টাকা দিয়েও হাজার হাজার দর্শক খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

খেলা শুরুর প্রায় ১৫ মিনিট আগে থেকেই সাধারণ দর্শক গ্যালারীর সবকটি গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগেই গ্যালারী কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় এবং তিল ধারণের ঠাঁই নেই গ্যালারী। ফলে বাধ্য হয়েই তারা গেট বন্ধ করে দেয়।

১৯৭৭ সালে নির্মিত ২০হাজার ধারণ ক্ষমতার এ স্টেডিয়ামে প্রায় অর্ধলক্ষ লোক আজ ফাইনাল খেলা দেখতে জমায়েত হয়েছে বলে দর্শকদের অভিমত। কিন্তু দ্বিগুন দর্শক প্রবেশ করানোর পরও সে পরিমান দর্শক বাইরে খেলা দেখতে না পেরে হতাশ মনে বাড়ী ফিরে গেছেন।

এদিকে উৎসুক দর্শককে নিয়ন্ত্রণ করতে দায়িত্বরত পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতেও দেখা গেছে। দর্শকরা এক পর্যায়ে ভূয়া, ভূয়া বলে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। অনেকে টিকেট কেটে খেলা দেখতে না পারার জন্য আয়োজকদের দোষারূপ করেন।

জানা গেছে, সরকার দলীয় এমপি ও সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে দ্বিগুন টিকিট ছাপাতে বাধ্য হয়েছে আয়োজক কমিটি। নেতারা তাদের অনুসারীদেরকে ২০টাকা দামের গ্যালারীর টিকেট বন্টন করেছেন। ফলে নেতাকর্মীরা আগে এসে দলবদ্ধভাবে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে গেলেও সাধারণ দর্শকদের বিফল মনোরথে ফেরত যেতে হয়েছে। আবার অনেককে দেখা গেছে এমপি কিংবা মন্ত্রী বা নেতার টুকেনে/সুপারিশে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন। ফলে টিকেট থাকা সত্তে¡ও প্রচুর দর্শক খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আয়োজকদের এমন অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতায় আগামী দিনে অনেক দর্শক স্টেডিয়াম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।

এ বিষয়ে আয়োজকদের কেউ মিডিয়ায় কথা বলতে রাজী নয়। পুলিশের ভূমিকাও একই রকম।