image

আটকে পড়া জাহাজ আর বালি উত্তোলনে হুমকির মুখে পারকী সৈকত

image

আটকেপড়া জাহাজ আর সৈকতের বালি উত্তোলনে হুমকির মুখে দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পারকী। স্থানীয় কিছু অসাধু লোক রাতে কিংবা প্রশাসনের অঘোচরে বালি উত্তোলন করে নিয়ে যায় আশপাশের দোকান ও বাড়ি ঘরে। অপরদিকে ২০১৭ সালে মোরার আঘাতে তীরে উঠে আসা ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজের কারনে ধংশ হচ্ছে সৈকতের জীববৈচিত্র।  এতে করে পারকী হারাচ্ছে তার নিজস্ব সৌন্দর্য্য।

জানাযায়, ২০১৭ সালের ৩০ মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে নোঙর ছিড়ে পারকী সমুদ্র সৈকতে আটকে যাওয়া জাহাজ ক্রিস্টাল গোল্ড উদ্ধার বা সরিয়ে নেয়া হয়নি তিন বছরেও। সৈকতে দীর্ঘ দিন ধরে বিশাল আকারের জাহাজটি আটকে থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় জেগে উঠা চরের বালি সরে গিয়ে হুমকির মুখে রয়েছে চট্টগ্রামের অন্যতম বিনোদন স্পট পারকি সমুদ্র সৈকত। একই কারণে এ এলাকার জীববৈচিত্রও হুমকির মুখে রয়েছে। সাগরের পানির ধাক্কায় জাহাজের প্রায় ৫শত মিটার এলাকার বালি সরে গিয়ে কাদা জমে গেছে। এতে করে সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা পড়ে বিড়ম্বনায়। কাদার কারণে সাগরের পানিও থাকে ঘোলাটে। অপর দিকে সৈকতের পাশ থেকে কর্ণফুলী টানেলের নাম করে একটি মহল ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করায় পারকীর উত্তর পাশের ঝাউগাছ সহ সৈকত এলাকা ভাঙনের মুখে পড়ছে। তাছাড়া  আশপাশের অসাধু কিছু লোক সৈকতের বালি উত্তোলন করে নিয়ে যায় দোকান কিংবা বাড়িতে। যার ফলে সৈকত এলাকার দুই তৃতীয়াংশ কাদায় ভরে উঠে। 

সূত্রে জানাযায়,ফোরস্টার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান হাইকোটের অনুমতি নিয়ে ১১ কোটি টাকায় আটকে পড়া জাহাজটি কেনে এবং জাহাজটি কেটে নেয়ার কাজ শুরু করে। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া জাহাজ কাটার খবর পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি টাকা অর্থদণ্ড করেন পরিবেশ অধিদফতর। 

এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর উপকণ্ঠে হওয়ায় দিন দিন পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে পারকীতে। কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসারের মোহনায় আনোয়ারা উপজেলার বারশত ও রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠেছে পারকী সমুদ্র সৈকত। সৈকতের উন্নয়নে সরকার মেগা প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এপ্রকল্প বাস্থবায়ন হলে পারকী হবে আধুনিক মানের পর্যটন এলাকা।

বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সৈকত ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য এমএ কাইয়ুম শাহ জানান, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রচেষ্ঠায় আমরা পারকী সৈকতকে আধুনিক মানের পর্যটন করার কার্যক্রম শুরু করেছি। একটি কুচক্রি মহল সৈকতকে ধংশ করার লক্ষে বালি উত্তোলন সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। এব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।