image

দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৬লেনের ৪সেতু’র কাজ এগুচ্ছে দ্রুত

image

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত পর্যটন নগরী কক্সবাজার ঘিরে অনেক মেগাপ্রকল্প অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত বান্দরবানমূখী দেশী-বিদেশী পর্যটকদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। পর্যটন খাতের ব্যবসার প্রায় পুরোটাই নির্ভরশীল এই সড়ক পথ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সক্রিয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগেই জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বেশির ভাগ আর্থিক সহায়তায় মহসড়কে ছয় লেনের চারটি নতুন সেতু নির্মাণকাজ বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে 'ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প'র অধীনে নির্মাণাধীন চারটি ছয় লেনের সেতুর মধ্যে পটিয়া ইন্দ্রোপোল সেতু ৬০ মিটার লম্বা ও ৩১.২০ মিটার চওড়া, চন্দনাইশের বরুমতি খালের উপর মাজার পয়েন্ট সেতু ৬০.১৫ মিটার লম্বা ও ৩১.২০ মিটার চওড়া, একই উপজেলার শঙ্খ নদীর ওপর সাঙ্গু সেতু ২৩৮ মিটার লম্বা ও ৩১.২০ মিটার চওড়া, এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ওপর মাতামুহুরী সেতু, যা লম্বায় ৩২১ মিটার ও ৩১.২০ মিটার চওড়া।

জানা গেছে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বেশির ভাগ আর্থিক সহযোগিতায় 'ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প'র অধীনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এসব সেতু ও কালভার্টের দুই পাশে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এক কথায় এই সেতুগুলো নির্মিত হচ্ছে চার লেনের উপযোগী করেই।

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান 'স্প্রেক্টা'র প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হক জানান, "চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে শঙ্খনদীর উপর সাঙ্গু সেতু ও চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরি সেতুর নির্মাণকাজ ১৫% শেষ হয়েছে। চন্দনাইশ উপজেলায় বরুমতি খালের উপর মাজার পয়েন্ট সেতুর টেস্ট পাইলিং শুরু করা হলেও পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু এলাকাতে ভূমি এখনো পাইনি। ভূমি না পেলেতো কাজ শুরু করা যাবেনা।" তবে ওখানে টেস্ট পাইলিং শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।