image

বাঁশখালীতে নালা দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ

image

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া গ্রামে প্রধান সড়কের পাশে জেলা পরিষদের পানি নিষ্কাশনের খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিল্ডিং কোড অমান্য করে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে স্থানীয় সৌদি প্রবাসী মো. মফিজের বিরুদ্ধে। এতো অভিযোগের পরও ওই ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

এ নিয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমলে নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া গ্রামের মো. মফিজ নামে এক প্রবাসী জেলা পরিষদের পানি নিষ্কাশনের খাল ও প্রধান সড়কের পাশে কিছু জায়গা ক্রয় করে। সম্প্রতি ক্রয়কৃত ওই জায়গায় বিল্ডিং কোড অমান্য করে ভবন নির্মাণ করে। অভিযোগ উঠেছে কোনো প্রকৌশলীর নকশা ছাড়াই বিল্ডিংটি নির্মাণ করা হয়েছে। 

এছাড়াও পার্শ্ববর্তী রোকসানা বেগম নামে এক বিধবা মহিলার মালিকানাধীন জায়গার সীমানা প্রাচীর ভেঙে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলেও তারা সেই বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় বেশ কয়েকবার। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত রোকসানা বেগম। 

এ ব্যাপারে নির্মিতব্য ভবনের মালিক মো. মফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভবন নির্মাণের ফলে সীমানা প্রাচীরটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই সীমানা প্রাচীর আমি পুনরায় নির্মাণ করে দেব। জেলা পরিষদের পানি নিষ্কাশনের খাল দখল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

স্থানীয় বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দীন বলেন, জেলা পরিষদের পানি চলাচলের একমাত্র খালটি দখলে নিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি। ভবনটি জেলা পরিষদের জায়গার ওপর নির্মিত হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন।