চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও দীর্ঘ দিন যাবৎ রয়েছে চিকিৎসক সংকটে। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে জুনিয়র কনসালটেন্ট(ই.এন.টি), এ্যানেসথেসিয়া,চক্ষু,চর্ম,গাইনি,মেডিকেল অফিসার(ইএমও), সহঃডেন্টাল সার্জন,সহকারী সার্জন(এ্যানেসথেসিষ্ট), সহকারী সার্জন(এএমসি)র বিশেষজ্ঞ পদগুলো শূন্য রয়েছে। এখানে আবাসিক চিকিৎসকের পদটিও শূন্য। ভারপ্রাপ্ত দ্বায়ীত্বে রয়েছে ডাঃ রিপন দত্ত। আনোয়ারায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২১ টি। এখানে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১১ জন চিকিৎসক। বাকিরা অনেকেই রয়েছে প্রেষণে, ২ জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ১ জন একেবারে বদলি নিয়ে চলেগেছে। যারা আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে ছুটিতে থাকেন। বাকি চিকিৎসকরা পর্যায়ক্রমে রাতে ও দিনে দায়ীত্ব পালন করছেন। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিতে চিকিৎসক সংকট রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ, চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসকের দ্বায়ীত্বে থাকা ডাঃ রিপন দত্তের আই এম সি আই কক্ষে প্রতিদিন ৮০-১০০ জন শিশু রোগী দেখেন। উনার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিভাবক গন সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আর তিনি এই সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ১৫০-২০০ রোগী আসে চিকিৎসা নিতে। চিকিৎসক সংকটের কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখাযায়, জেনারেটর নষ্ট অনেক দিন ধরে, এক্সেরে মেশিনটি কখন ব্যবহার করেছে জানা নেই, গাইনী ড়াক্তার ও এ্যানেসথেসিষ্ট ড়াক্তার না থাকায় গর্ববতী মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েগেছে। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে উপজেলার প্রায় চার লাখ লোকের স্বাস্হ্যসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বহির্বিভাগে টিকিট কেটে রোগীরা দুইটি কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, চিকিৎসক ভিতর থেকে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা নিতে আসা কৈনপুরা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন এখানে আসলে চিকিৎসক সংকটের কারণে ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়না। শুধু কিছু বড়ি দিয়েই শেষ। এক্সেরে কিংবা অন্য কিছু করতে হলে বাইরের ডাইয়াগনেষ্টিক সেন্টার থেকে করতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডাঃ রাখাল চন্দ্র বড়ুয়া ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করেন। এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানান । ডাক্তার সংকট সমাধান হলে সমস্যা হবেনা বলে তিনি জানান।
Developed By Muktodhara Technology Limited