image

উখিয়ায় আই কেয়ার প্রোগ্রামে আড়াই হাজার চশমা দিলো ফুজি

image

কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য দেড় হাজার চশমা অনুদান দিয়েছে জাপানের ফুজি অপটিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর মাধ্যমে এসব চশমা অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালেও এক হাজার চশমা দেয় কোম্পানিটি। 

শনিবার ( ১৬ নভেম্বর)  অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কাছে এসব চশমা হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর । 

উখিয়ায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত ‘আই কেয়ার প্রোগ্রামে’র মাধ্যমে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রদান করা হবে এসব চশমা। উল্লেখ্য ফুজি অপটিক্যাল ফাইবার এর সিইও ডঃ আকিও কানাই ২০০৬ সালে ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে নানসেন রিফুউজি পুরস্কার লাভ করেন।

অনুষ্ঠানে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামসুদ্দৌজা বলেন, ইউএনএইচসিআর শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। এ রকম আরও সহায়তা আমাদের প্রয়োজন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা করেন। হাজারো উদ্বাস্তুর স্পষ্ট দৃষ্টি নিশ্চিত করতে ফুজি অপটিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড ১৯৮৪ সাল থেকে ইউএনএইচসিআর -এর সঙ্গে কাজ করছে। কোম্পানিটি বেসরকারি খাতে ইউএনএইচসিআর-এর দীর্ঘদিনের অংশীদার। 

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় বাংলাদেশীদের চক্ষু সেবা দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের (সিবিবিএসএইচ)  সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে অরবিস।অনুষ্ঠানে ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার সাব-অফিসের প্রধান মারিন কাইদুমচাই বলেন, আমরা শুধু একটি চশমা দিয়ে একজন মানুষকে সাহায্য করছি না, বরং এই দৃষ্টিশক্তির মাধ্যমে তার পুরো পরিবার উপকৃত হবে। শরণার্থী ও স্থানীয় উভয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা বাড়াতে আমাদের আরও নজর দিতে হবে। সবাই মানুষ এবং সবাই আমাদের সাহায্য পাবে।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের  বেশি স্হানীয় ও রোহিঙ্গাদের চোখের স্ক্রিনিং করা হয়েছে, ২ হাজার ৮০০ এর বেশি রোগীর ক্যাটারাক্ট সার্জারি করা হয়েছে, ২০ হাজারের বেশি লোক ঔষধ পেয়েছেন এবং ৯ হাজারের এর বেশি চশমা বিনামূল্যে রোগীদের বিতরণ করা হয়েছে। তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।