image

চন্দনাইশে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণের ৭০ ঘর

image

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর রামু ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ৭০টি পাকা ঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, পাহাড় ঘেরা ভূমিতে দুই লাইনে ১৪টি পাকা ব্যারাকের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ব্যারাকে পাঁচটি পরিবারের জন্য রয়েছে পাঁচটি কক্ষ। প্রতিটি কক্ষ লম্বায় ১৮ ফিট ও প্রস্থ ৯ ফিট। রয়েছে কিচেন ও বারান্দা। একটি ব্যারাকের জন্য দুইটি শৌচাগার, একটি গোসলখানা ও একটি নলকূপ রয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজটি সুন্দর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক আ ন ম বদরুদ্দোজা।

মঙ্গলবার দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম বদরুদ্দোজা দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘ব্যারাক নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় সেগুলো সম্পন্ন করার পর নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে। এরপর সরকারি বিধিমালা মেনে প্রকৃত ভূমিহীনদের যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কিছু আবেদনপত্র পেয়েছি, আমাদের কাছেও ভূমিহীনদের তালিকা আছে। তার সঙ্গে মিলিয়ে প্রকৃত ভূমিহীনদের স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দিয়ে দলিল হস্তান্তর করব।’ 

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- চন্দনাইশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা, মেজর মুহাম্মদ মশিউর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. এনামুল হক, হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, দোহাজারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাজী মো. এনামুল হক, কানুনগো শোক হরন চাকমা ও সার্ভেয়ার আব্দুল মোমিন প্রমুখ।