image

কুতুবদিয়ায় ধৃত আসামী ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

image

কুতুবদিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চা ল্যকর দখলবাজি মামলার ৩ পলাতক আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া চা ল্যকর দখলবাজির ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে এ ঘটনায় রুজু হওয়া মামলার (জিআর-১২৯/২০১৯) ৩ পলাতক আসামীকে ধূরুং বাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে আটক করে পুলিশ। পরে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসার পথে মুঠোফোনে কয়েকদফা দর কষাকষি করে শেষ পর্যন্ত কৈয়ারবিলের মহাজন রোড এলাকায় এনে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এর প্রতিকার ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নাছির উদ্দিন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে মৃত সাইফুর রহমানের ছেলে নাছির উদ্দিনের বসতঘর ও টিনের বেড়া ভেঙ্গে বসতভিটা দখলে নেয় দুর্বৃত্তরা। প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরাহা না পেয়ে পরবর্তীতে ১৯ নভেম্বর কুতুবদিয়া জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি (সিআর-৩৪৯/১৯) মামলা দায়ের করেন নাছির উদ্দিন। আদালত কুতুবদিয়া থানাকে এফআইআর হিসেবে নিয়মিত মামলা রুজু করার নিদের্শ দেন। অনেক তাগাদার পর অবশেষে মামলাটি (জিআর-১২৯/২০১৯) রুজু হয়। 

নাছির উদ্দিন বলেন, ৭ ডিসেম্বর অনেক কাকুতি মিনতির পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোসলেম উদ্দিন বাবলু ও এএসআই আনোয়ারসহ ধুরুং বাজারে বিকাল ৫টার সময় প্রকাশ্য দিবালোকে ২নং আসামী জামাল উদ্দিনকে ধুরুং বাজার কালুর চায়ের দোকান, ৪নং আসামী এরফানকে তাহার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৭নং আসামী মনির আহমদকে ওষুধের দোকানদার মিজানের দক্ষিণ পাশের্^র চায়ের দোকান থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীসহ স্থানীয় নাছির ড্রাইভারের মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে থানায় নেয়ার পথে কৈয়ারবিল মহাজনরোড নামক স্থানে আসলে এসআই মোসলেম উদ্দিন বাবলু সাহেবের নিকট একটি ফোন আসে। তিনি গাড়ি থেকে নেমে ফোনে কথা বলে আসামীদেরকে ছেড়ে দেয়। জানতে চাইলে উপরের নির্দেশে আামাকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে বলে জানান। আমি আসামী নিয়ে যেতে পারবনা। এর পর তার নিদের্শ দিলে এএসআই আনোয়ার সবার সামনে আসামীদের হাত কড়া খুলে দেয়। বাড়াবাড়ি করলে মামলা দিয়ে হাজতে দেবেন বলে হুমকি দেওয়ায় আমি ভয়ে আর কোন কথা না বলে বাড়ি চলে যাই।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার এসআই মোসলেম উদ্দিন বাবলুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি এটা ভুল বুঝাবুঝি মাত্র।