image

যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবীতে বাঁশখালীবাসীর স্মারকলিপি

image

বাঁশাখালীর মানুষকে জিম্মি করে বাঁশাখালী পরিবহন মালিক সমিতির বিভিন্নভাবে যাত্রী হয়রানি বন্ধে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 
স্মারকলিপিতে ৫ দফা দাবি জানানো হয়। ৫ দফা দাবিগুলোর মধ্যে (১) প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁশাখালীতে পরিবহন সেবা দিতে ইচ্ছুক সকল বাস কোম্পানী (বিশেষ করে সানলাইন ও এস.আলম কোম্পানী) কে কম পক্ষে ৪টি কাউন্টার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রী সেবা প্রদানের সুযোগ করে দিতে হবে। (২) বাঁশখালীতে সেবাদানকারী সকল পরিবহনগুলোকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত যাত্রী সেবা দিতে হবে। (৩) কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের যথাযথ বসার ব্যবস্থা ও পয়োনিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। (৪) দুর্ঘটনা/এক্সিডেন্ট রোধে ফিটনেস বিহীন গাড়ী দ্বারা যাত্রী সেবা দেওয়া যাবে না। (৫) কাউন্টার ব্যতীত যাত্রী উঠা বন্ধ করা ও বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের আইনজীবী, এ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন জাহেদ, আরিফুল ইসলাম তায়েফ, মোঃ আতাউর রহমান আসাদ, জাফরান আদনান, শামিম উল্লাহ আদিল, হায়দার আলী , রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, রকিব বিন আশরাফ চৌধুরী প্রমুখ। 

বাঁশখালীতে দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালী বাস মালিক সমিতি বাঁশখালীর যাত্রীদেরকে জিম্মি করে হয়রানী ও বৈষম্যমূলক আচরণসহ জাতীয় বা ধর্মীয় বিশেষ দিনে বাসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অন্য যাত্রী সেবা প্রদানকারী বাসসমূহকে সেবা দিতে বাধা প্রদান করে আসছে। 

সূত্র মতে, অন্য কোম্পানী সেবা দিতে চাইলেও তাদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকিসহ এমনকি তাদের বাসে হামলা করে থাকে। বাঁশখালীর বাস মালিক সমিতির অনিয়ম, নৈরাজ্য, গলাকাঠা ভাড়া, বাসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে এবং যাত্রী সেবা দিতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোকে অনুমতি এবং দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে মাননীয় জেলাপ্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।